পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে হল ৯ ৷ এদিন নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান এই ঘটনার এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে বিরোধীদের দাবি মতো এনআইএ এই বিস্ফোরণের তদন্ত করতে চাইলেও রাজ্যের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে ও আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে স্থানীয় থানার আইসি র বিরুদ্ধে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি ৷ স্থানীয় পুলিশের ভূমিকায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৷ উল্লেখ্য এর আগে এদিন জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৩ ৷ তবে এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায় ওই বেআইনি বাজি কারখানার মালিকের নাম কৃষ্ণপদ বাগ ৷ গত বছর ১৯ অক্টোবর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ৷ বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় ৷ তবে সে আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় ৷ পরে ফিরে এসে সম্প্রতি সে এবার এই ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বেআইনি কারখানা শুরু করে ৷মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ওই ব্যক্তি ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন ৷ সে ওড়িশা ও বাংলাদেশে এই বেআইনি বাজির ব্যবসা করত ৷ ঘটনায় এদিন বিরোধীদেরও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি জানান এক নির্দলকে বিজেপি ওই এলাকার পঞ্চায়েতে জিতিয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি এদিন ঘটনার পর তিনি মানস ভুঁইয়াসহ আরও কয়েকজন বিধায়ক ওই এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তাঁদের বাধা দেয় বিজেপি ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিরোধীরা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে ৷ সেই প্রসঙ্গে মমতা এদিন জানান এই ঘটনায় তৃণমূল বা রাজ্য প্রশাসনের কেউ জড়িত নয় ৷ তাই এনআইএ তদন্ত হলেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই তিনি চান আসল তথ্য সামনে আসুক ও দোষীরা শাস্তি পাক ৷