জেলা

পুরুলিয়ায় তৃণমূল টাউন সভাপতিকে খুনে পুলিশের জালে দুই

পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের জালে দুই। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই গ্রেপ্তারি। ধৃতদের মধ্যে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ জামাল। অপরজন তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত আরশাদ হোসেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল সে। এদিকে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হতেই অবরোধ তুলে নিল পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দলীয় পার্টি অফিসে গুলি করে খুন করা হয় আদ্রা শহর তৃণমূলের সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে। আততায়ীদের গুলিতে জখম হন ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষী রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল শেখর দাসও। তৃণমূল নেতা এবং তাঁর দেহরক্ষীকে আততায়ীরা গুলি করে পালানোর পর স্থানীয়রাই দু’জনকে রঘুনাথপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ধনঞ্জয়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে শেখরকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা খুনের পর শুক্রবার ভোর থেকে আদ্রা শহরের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীরা। আততায়ীদের গ্রেপ্তারির দাবি তোলা হয়। সকাল থেকে দোকানপাটও বন্ধ ছিল শহরে। চলে অবরোধ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতেই মহম্মদ জামাল ও আরশাদ হোসেনের নামে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। শুরু হয় তল্লাশি। পুরুলিয়ার সবকটি নাকা পয়েন্টে চেকিং চালানো হয়। আনা হয় স্নিফার ডগ। দীর্ঘ তল্লাশির পর শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ জামাল ও তার সহযোগি হিসেবে এলাকায় পরিচিত আরশাদকে। সূত্রের খবর, সুপারি কিলার হিসেবে কাজ করত জামাল।