একদিকে নাগরিকত্ব ইস্যু, অন্যদিকে ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে তাঁর প্রবেশে বাধা দেওয়া। দুই বিষয়কে হাতিয়ার করে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। গত ১১ জুন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার ঠাকুরনগরে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সেই ঘটনা নিয়েই নদিয়ার বুকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ। মঙ্গলবার নদিয়া থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেলেন অভিষেক। এ দিন দুপুর ১টায় কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বাদকুল্লায় তাঁর নির্বাচনী সভা ছিল। সেখান থেকেই তিনি নিশানা বানান শান্তনু ঠাকুরকে। উল্লেখ্য, উনিশ ও একুশের ভোটে মতুয়াদের ভোট ছিল বিজেপির সঙ্গেই। কিন্তু একুশের ভোটের পরে পুরনির্বাচনে মতুয়াগড়ের কোনও পুরসভাতেই সেভাবে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। সব জায়গাতেই বাজিমাত করে তৃণমূল। এখন দেখার বিষয় পঞ্চায়েত ভোটে মতুয়ারা কোন দিকে থাকেন! এদিন অভিষেক ঠাকুরবাড়ির মন্দিরে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে কি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে? কার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেব? পুজো দিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লাগে? কী ধরনের হিন্দুত্ব বাংলায় স্থাপন করতে চাইছে বিজেপি, তার নিদর্শন দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এটা দুর্ভাগ্য যে যাদের হাতে গোধরার রক্ত, তাদের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। বহিরাগতদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অথচ বাংলার মানুষ সবকিছু থেকে বঞ্চিত। বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আপনাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেবেন না। আপনারা এই দেশের নাগরিক। প্রধানমন্ত্রীর যতটা অধিকার এই দেশের ওপর, মতুয়া ভাইবোনেদেরও অধিকার ততটাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকতে সেই অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবে না। এটা একনায়কতন্ত্র নয়, গণতন্ত্র। গণতন্ত্রে শাসক নয়., খেটে খাওয়া মানুষই শেষ কথা বলেন। তাই মানুষ মনে করলে টেনে নামাতে সময় লাগবে না। তখন সাংসদ পদও থাকবে না, কেন্দ্রের মন্ত্রীত্বও থাকবে না।’