মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন বিশেষ অধিকর্তা তথা দুঁদে আইপিএস রূপক কুমার দত্ত। সোমবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক নেত্রীর নিরাপত্তা দেখভালের গুরুদায়িত্ব সামলাবেন দুঁদে পুলিশ কর্তা।আগামী লোকসভা ভোটে বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা দেশজুড়েই তিনি বিরোধী শিবিরের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাবেন। আর ভিন রাজ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্থের গুরুদায়িত্ব সামলাবেন রূপকবাবু। যার সঙ্গে একাধিক রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সম্পর্ক ভীষণ ভাল। গত এপ্রিলেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের উপদেষ্টা পদে যোগ কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন বিশেষ অধিকর্তাকে বসিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তরা উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। গত ২৫ মে সেই ফাইলে সম্মতিও দিয়েছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের প্রাক্তন বিশেষ অধিকর্তাকে। টানা ১৮ বছর সিবিআইতে কর্মরত ছিলেন রূপক কুমার দত্ত। ২জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি থেকে কয়লা খনি বন্টন কেলেঙ্কারির মতো হাই ভোল্টেজ মামলার তদন্তের ভার তাঁর কাঁধেই ছিল। যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলেও শিরদাঁড়া সোজা রেখে বরাবর কাজ করার কারণেই ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস আধিকারিককে সিবিআইয়ের অধিকর্তা পদে বসাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিবর্তে অলোক ভার্মাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার শীর্ষ পদে বসান। ওই অপমানের পরেই তৎকালীন সিবিআইয়ের অধিকর্তা অনিল সিনহাকে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন রূপক কুমার দত্ত। দক্ষ পুলিশ আধিকারিককে নিজের রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কর্নাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ২০১৭ সালে কন্নড়ভুমে পুলিশের শীর্ষ পদে বসিয়েছিলেন ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস আধিকারিককে।