সোমবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপে পঞ্জাব এফসিকে ২-০ গোলে হারাল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। প্রথম গোলটি ছিল আত্মঘাতী। আর দ্বিতীয় গোলটি করেছেন হুগো বুমোস। টানা দুই ম্যাচ জেতার সুবাদে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আর্মিকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান। আগামী শনিবার চির শত্রু ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বি যুদ্ধে নামার আগে এদিনের ম্যাচটি ছিল জুয়ান ফেরান্দোর শিষ্যদের কাছে মহড়া। মরসুমে প্রথম বার সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে নেমেছিলেন হুগো বুমোস। প্রথম থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকেন মনবীররা।কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে স্টেডিয়ামের কিছু জায়গায় জল জমে যাওয়ায় পাসিং ফুটবল খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল বাগানের খেলোয়াড়দের। তার মধ্যে ২৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ডান দিক থেকে ক্রস বক্সে ভাসিয়েছিলেন মনবীর। আসিসি মেলরয় বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছলে যান। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। গোল খাওয়ার পরে তেড়েফুড়ে ওঠে পঞ্জাবের খেলোয়াড়রা। বেশ কয়েকবার বল নিয়ে পৌঁছে যায় মোহনবাগানের রক্ষণে। যদিও ভাগ্য সুপ্রসন্ন না থাকায় কাঙ্খিত গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন শিবির। দিমিত্রি পেত্রাতোসের সঙ্গে পাস খেলে বাঁ দিক থেকে বক্সে ক্রস ভাসিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। সেই বল ধরে হুগো বুমোস পঞ্জাবের গোল লক্ষ্য করে শট নেন। কিন্তু পঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে তা প্রতিহত হয়। দ্বিতীয় প্রয়াসে অবশ্য গোল করেন। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরে গোল শোধের জন্য ঝাঁপায় পঞ্জাব। দু’মিনিট পরেই গোল শোধ করার জায়গায় চলে গিয়েছিল। কিন্তু জুয়ান মেরার শট পোস্টে লাগে। ৫৬ মিনিটের মাথায় সতীর্থের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করে চকিতে মোহনবাগানের গোল লক্ষ্য করে শট নেন লুকাস মাজসেন। কিন্তু দলের পতন রুখে দেন বাগান গোলরক্ষক বিশাল কায়েথ।