বিরোধী শাসিত পঞ্জাবে রাজ্যপালের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘রাজ্যপালদের ভুলে গেলে চলবে না, তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি নন’। বিধানসভায় যখন কোনও বিল হয়, তখন অনুমোদনের জন্য় সেই বিল পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজভবনে। এরপর রাজ্যপাল যদি স্বাক্ষর করেন, তাহলে বিল আইনে পরিণত হয়। অভিযোগ, পঞ্জাবে ৭ বিল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত। কেন? মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘আদালতের কড়া নাড়লেই পদক্ষেপ, আগে নয় কেন’? এদিকে বাংলায় রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভা। এরপর বিধানসভায় বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ভোটাভুটিতে সেই বিল পাসও হয়ে যায়। কিন্তু বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। এমনকী, রাজভবনে আটকে রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ বিলও। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন, এটা মনে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রত্য়েকেই জানেন। কিন্তু রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। আইনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে এমন কোনও বিল পাস করানো যায় না, যেটা ভারতীয় সংবিধানের মূল ভাবধারার বিরোধী। এখন প্রশ্ন হল, রাজ্যপাল কোন কারণে কী বিলকে, আটকে রেখেছেন, স্বাক্ষর করেননি। পঞ্জাবের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা করা তো সম্ভব নয়’।