“গণতন্ত্রের লজ্জা। বিজেপির আচরণ প্রতিহিংসামূলক।“সাংসদ পদ খারিজে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এটাই প্রমাণ করে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসা মূলক আচরণ করে।” বর্তমানে দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াংয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের খবর পেয়ে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খুবই দুঃখজনক। মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। ভোটে তাঁকে পরাজিত করতে না পেরে, বিজেপি তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, ৫৫৭ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়ে, আধঘণ্টার মধ্যে সবাই আলোচনা করে। বার বার করে সাংসদরা, ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরাও বলেছেন যে আমাদের রিপোর্ট পড়ার সুযোগ দাও। সেটা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনে সুযোগও দেওয়া হয়নি। এটা দেখে বোঝা যায়, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি গণতন্ত্রের সঙ্গে লড়তে পারে না। ওদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য, একজন মহিলাকে, বিশেষ করে যিনি কিনা ইয়ং জেনারেশনের তাঁকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, যেভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁকে আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। দল সম্পূর্ণভাবে মহুয়া মৈত্রর পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা চেয়েছিলাম সুবিচার হোক। বিচার করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তুমি সিবিআই-ও করবে আবার ওদিকে এক্সপালশনও করবে। ক’মাস বাদে নির্বাচন? ২-৩ মাস বাদে। বড়জোর একটা সেশনেই যোগ দিতে পারত। সেই সুযোগটাও দিল না। এর থেকেই প্রমাণিত হয় যে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করে। আজ আমি সত্যিই দুঃখিত।” এদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আবারও কি মহুয়া তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, “না হওয়ার তো কোনও কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। আর ওকে তো কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রেসিডেন্টও করা হয়েছে। তাছাড়া দল তো ওর পাশেই দাঁড়িয়েছে। যা হয়েছে তা তো ধ্বনি ভোটে হয়েছে। হাত তুলে ভোট, কোনও সুযোগ না দিয়ে। এটাও রেকর্ড থাকবে।”