আজ সকাল থেকেই সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল। তলব করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও। দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন ইডি আধিকারিকরা সরবেরিয়া পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শাহজাহানের অনুগামীরা। আহত হন ইডি আধিকারিকরা, আহত হয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। পালিয়ে যেতে বাধ্য হন জওয়ানরা। জানা গিয়েছে ৪ ইডি আধিকারিক সহ এক চালক জখম হয়েছেন, ইডির সদর দপ্তর থেকেও ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, তীব্র নিন্দা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘন্টাখানেক আগেই বিচারপতি বলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” তার কিছুক্ষণ পরেই সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল। শুক্রবারের ঘটনায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি বলেন, “সরকারের উচিত গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে রুখে দেওয়া। কিন্তু সরকার যদি তার প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করতে না পারে, তবে দেশের সংবিধান উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। সংবিধানের নিজস্ব দায়িত্ব, কর্তব্য আছে ” একটি অডিও বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারের উচিত চোখ মেলে বাস্তবকে দেখা এবং যথাযথ পদক্ষেপ করা। নইলে তাদের এর ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। শুক্রবারই রাজভবনে তলব করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও।