দেশ

অমিত শাহকে নিয়ে মন্তব্য, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেল রাহুল গান্ধি

অমিত শাহকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ৷ এ দিন বিচারপতি অম্বুজ নাথের এজলাসে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানি হয় । সেখানে নিম্ন আদালতের রায়ের রেকর্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত । রাহুল গান্ধির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দীপঙ্কর রাই ও শ্রেয়া মিশ্র । আবেদনকারী বিজেপি নেতা নবীন ঝা-এর পক্ষে হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অজিত কুমার, অ্যাডভোকেট বিনোদ কুমার সাহু এবং অ্যাডভোকেট কুমার হর্ষ তাঁদের যুক্তি আদালতে তুলে ধরেন ৷ উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত বলে, নিম্ন আদালতে রেকর্ড হওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দি শুনতে হবে । তাই নিম্ন আদালতের নথি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । আইনজীবী বিনোদ কুমার সাহু বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতের নথি এলে শুনানির তারিখ ঠিক করা হবে বলে আদালত জানিয়েছে ।’’কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে এই মন্তব্য রাহুল গান্ধি করেছিলেন ২০১৮ সালে ৷ তখন অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি ৷ দিল্লিতে কংগ্রেসের এক সম্মেলন থেকে রাহুল দাবি করেছিলেন, একজন খুনি কেবল বিজেপিতে জাতীয় সভাপতি হতে পারে, কংগ্রেসে নয় । এই বিবৃতির বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা নবীন ঝা ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডের নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করেছিলেন । এই বছরের মে মাসে অম্বুজ নাথের আদালত এই মামলার রায় সংরক্ষণ করার সময় উভয়পক্ষকে যুক্তির সারসংক্ষেপ দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল । এদিকে, আবেদনকারীর আইনজীবী অনিল সিনহার মৃত্যুর পর অন্য আইনজীবী অজিত কুমার পুরো মামলার কিছু তথ্য উপস্থাপনের অনুরোধ করেছিলেন । এই কারণে ফের শুনানি শুরু হয় শুক্রবার ।রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডে মোট তিনটি মামলা চলছে । তার মধ্যে দু’টি মামলা অমিত শাহ সম্বন্ধে মন্তব্য নিয়ে ও একটি মামলা মোদি পদবি নিয়ে ৷