লোকসভা ভোটের মুখে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে মোদি সরকার। আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে ফের নয়াদিল্লিকে বিশেষ বার্তা দিল আমেরিকা। জার্মানির পর দু’দিন আগে কেজরিওয়াল ইস্যুতে মুখ খোলে ওয়াশিংটন। তারা জানায়, সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচারের প্রক্রিয়া শেষ করুক নয়াদিল্লি। যদিও আমেরিকার এই বক্তব্যকে ভালো চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। এই বিবৃতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে নিযুক্ত আমেরিকার ডেপুটি চিফ অব মিশন গ্লোরিয়া বার্বেনাকে ডেকে পাঠায় বিদেশ মন্ত্রক। গতকাল, বুধবার দুপুরে বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা এই মার্কিন কূটনীতিকের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন। তারপরেও ফের একবার কেজরিওয়াল ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা গেল ওয়াশিংটনকে। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার আপ প্রধানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘ন্যায্য, স্বচ্ছ, সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়ার আশায় রয়েছি আমরা।’ তবে এবারে আরও একধাপ এগিয়ে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পাশাপাশি কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও বক্তব্য রেখেছে ওয়াশিংটন। যা মোদি সরকারের কাছে চরম অস্বস্তির বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ম্যাথু জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখব। আমরা আবারও বলতে চাই ওনার বিচার যেন ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী হয়।’ গ্লোরিয়া বার্বেনাকে নয়াদিল্লির ডেকে পাঠানোর প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই এই কথাগুলি বলেন ম্যাথু। তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে কংগ্রেস পার্টির যে অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়ও আমরা অবগত। আয়কর দপ্তর তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। এই ধরনের বিষয়গুলোতে ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ ও দ্রুত আইনি প্রক্রিয়াকেই আমেরিকা সমর্থন করে।’ বিগত কয়েক বছরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এইভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি আমেরিকা কিংবা জার্মানিকে। লোকসভা ভোটের আগে বিদেশি শক্তিধর দেশগুলির এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদি সরকারকে।