জেলা

‘কেন্দ্র আবাসের টাকা দিলে মাথায় আঘাত আসত না’, মোদি সরকারকে তোপ অভিষেকের

ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি জেলায় বহু বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। প্রকৃতির রোষে আক্রান্ত একাধিক শিশু। তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে নার্সিংহোমে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুদের দেখে উদ্বিগ্ন তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক। তুলোধনা করলেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। জানালেন, আবাসের টাকা বন্ধ করেছে বিজেপি, আবাসের টাকা পেলে আজ এত ক্ষতি হত না, এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। রবিবার ক্ষণিকের ঝড়ে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ঘটনায় আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। জলপাইগুড়ির খালপাড়া নার্সিংহোমে তাদের চিকিৎসা চলছে। সেখানেই তাদের দেখতে গেলেন অভিষেক। শিশুদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবক ও চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন আহত শিশুদের পরিবারের সদস্যরা।সুকান্ত -শুভেন্দুরা আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে রেখেছে। আজ যদি আবাসের টাকা বন্ধ না হত তাহলে এত ক্ষতি হত না। এইভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিষেক। একইসঙ্গে আবারও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, ৪ পয়সার শ্বেতপত্র বিজেপি যদি প্রকাশ করে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৬-১৭ দিন হয়ে গিয়েছে কোচবিহার থেকে আমি চ্যলেঞ্জ করেছিলাম তারপরেও কোনও শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। একইসঙ্গে অভিষেক সরাসরি বলেছেন সেখানে হিংসা ছড়াচ্ছে নিশীথ প্রামাণিক। রাজ্যপাল যদি নিরপেক্ষ হন তাহলে নিশীথের বিরুদ্ধে মামলা করুন। অভিষেক সাফ জানান, “যারা গ্যারেন্টি দিচ্ছেন তারা শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে।” রবিবার রাতেই ঝড়-বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া নিয়ে বিরোধীরা ‘রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এর পাল্টা জবাব দিয়ে অভিষেক বলেছেন, “৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি পৌঁছতে পারছেন আর সুকান্ত ৩০০ কিমি দূর বালুরঘাটা থেকে এখানে পৌঁছতে পারছেন না! মুখ্যমন্ত্রী যদি শুধু রাজনীতি করতেন তাহলে তিনি সকালে আসতে পারতেন কিন্তু তা তিনি করেননি মুখ্যমন্ত্রী রাতে দুর্গতদের কাছে গিয়েছেন।” বিজেপির সাংসদ বিধায়করা কেউ আসেননি। এদিকে ঝড়ের জেরে অভিষেক গৃহহীনদের আশ্বাস দিয়েছেন যাদের ঘর ভেঙেছে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। তিনি জানিয়েছেন, যারা ভোট দিয়েছেন তারাও রাজ্য সরকারের পরিষেবা পাবেন যারা ভোট দেননি তারাও পরিষেবা পাবেন।