রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি ছিল। ‘এক দেশ এক ভোট’, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের অঙ্গীকার ছিল। ছিল ‘৪০০ পার’ স্লোগান কার্যকরের লক্ষ্য। কিন্তু অষ্টাদশ লোকসভার ফল জানিয়ে দিল, এই প্রথম বার সহযোগীদের সমর্থনের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হবে বিজেপিকে। এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত ফলে স্পষ্ট ইঙ্গিত, তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ। যদিও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ফলের বিপরীতে এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। জোট হিসাবে ২৯২ আসনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ। আর এখানেই কলকাঠি নাড়ার জায়গায় চলে এসেছে ‘ফ্যাক্টর এন’। তিনি চন্দ্রবাবু নায়ডু। পরিস্থিতি অনুযায়ী, এনডিএ সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে রয়েছে ২৯২টি আসনে। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে বেশি। অর্থাৎ, এই আসনসংখ্যা ধরে রাখতে পারলে তৃতীয় বার মোদীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা থাকার কথা নয়। কিন্তু এখানেই রয়েছে মোচড়। এখনও পর্যন্ত যা প্রবণতা, তাতে এনডিএ-র ঝুলিতে ২৯২ আসনের মধ্যে দুই ‘এন’— যথাক্রমে নায়ডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দখলে যেতে চলেছে অন্তত ৩০টি আসন। এনডিএর ঝুলি থেকে সেই ৩০ আসন কমে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন মোদী। তাই রাতারাতি দর বেড়ে গিয়েছে অন্ধ্রের নায়ডুর। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশে এই মুহূর্তে মোট ২৫টি আসনের মধ্যে নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এগিয়ে রয়েছে ১৬টি আসনে। অন্য দিকে, নীতীশের জেডি (ইউ) এগিয়ে রয়েছে ১২ আসনে। দুই ‘এন’-এর দু’দল মিলিয়ে প্রায় ২৮টি আসন। দিনের শেষে এই অঙ্কেই থমকে এনডিএর জয়ের পাটিগণিত।