দেশ

বিরোধী দলনেতার দৌড়ে গৌরব গগৈ, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শনিবার

লোকসভা নির্বাচন মিটতেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসছে। আগামী শনিবার কংগ্রেস সদর দপ্তরে এই বৈঠক হতে চলেছে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি আগামী দিনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। রবিবার নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ হবে। তার আগের দিন কংগ্রেস ওয়ার্কিং বৈঠক ডাকা হয়েছে। লোকসভা ভোটে ভাল ফলের ফর কংগ্রেসে নতুন করে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এনডিএ সরকারকে সংসদ ও সংসদের বাইরে কোনঠাসা করতে রণকৌশল ঠিক হবে। এছাড়াও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বিরোধী দলনেতার পদে কে হবেন, তা নিয়ে একাধিক নাম সামনে আসছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে গৌরব গগৈ, শশী থারুর এবং মনীশ তিওয়ারির নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। আসন সংখ্যার নিরিখে বিরোধী দলনেতার পদ মেলেনি। তবে সংসদে সবেচেয়ে বড় বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের গত লোকসভায় অধীর চৌধুরি দলনেতা হন। এবার অধীর হেরেছেন। সপ্তদশ লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা ছিলেন গৌরব গগৈ। এবার বিরোধী দলনেতার পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন গৌরব। হিন্দি, ইংরেজি এবং অসমিয়া ভাষায় সড়গড় গৌরব গগৈ। তাঁর অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাঁকে বিরোধী দলনেতা করে উত্তর-‌পূর্বে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।অন্যদিকে, শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারিরাও দৌঁড়ে র‌য়েছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নামও শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা পদে বসার জন্য রাহুলকে অনুরোধ করতে পারেন কংগ্রেস সাংসদদের একাংশ। তাঁরা চাইছেন, সংসদের ভিতরে এবং বাইরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্মুখসমরে নেমে পড়ুন রাহুল। তবে ভিন্ন বক্তব্যও শোনা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতা হলে রাহুলকে আটকে থাকতে হবে সংসদেই। মাঠে নেমে সংগঠনের ভোল বদলানোর যে চেষ্টা তিনি করছেন, সেটা করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাছাড়াও রাহুল সংগঠনের উপর বিশেষ নজর দিয়েছেন গত কয়েক বছরে। তাঁর চেষ্টাতেই ৫২ থেকে একশোর ঘরে পৌঁছেছে দলের সাংসদ। কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া উঠেছে।