দেশ

নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে ‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে উপস্থিত কেবল মল্লিকার্জুন খাড়গে

রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিরোধী শিবিরের একটি সূত্রের দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেস সভাপতি দলের বাকি নেতৃত্ব এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ গতকাল রাতে কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানান বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ যোশী ৷ তবে, রবিবার রাজ্যসভায় বিরোধী দলের উপনেতা প্রমোদ তিওয়ারি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি ৷তিনি বলেছিলেন, “আমি রাজ্যসভায় বিরোধী দলের উপনেতা ৷ আমি প্রধানমন্ত্রী মনোনীত নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও আমন্ত্রণ পাইনি বা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরাও পায়নি ৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিকমানের করতে, নরেন্দ্র মোদি বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাতে বেশি আগ্রহী ৷” এদিকে, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না ৷ সঙ্গে এও যোগ করেছেন, তাঁকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির তরফে ৷ তিনি বলেন “আগেই জানিয়েছি, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি যাচ্ছি না ৷ এমনকি আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ৷ আমি শুধু সমগ্র দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে চাই, শুধুমাত্র ওনাকে দেখে ভোট না-দেওয়ার জন্য ৷” এমনকি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন কিছুই জানাবেন না তিনি ৷ সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নে মমতা বলেন, “আমারে ক্ষমা করবেন, আমি অসাংবিধানিক ও বেআইনিভাবে গঠিত সরকারের জন্য কোনও দলকে শুভেচ্ছা জানাতে পারব না ৷” এর আগে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, মনোনীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণে শুধুমাত্র ‘আন্তর্জাতিক নেতাদের’ আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে ৷ তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী শিবিরে আমন্ত্রণ আসা নিয়ে ৷ আর বিরোধী দলগুলিকে পরবর্তী সময়ে আমন্ত্রণ জানান হলেও, ‘ইন্ডিয়া’ জোট অবশ্যই চিন্তাভাবনা করবে সেখানে উপস্থিত থাকা উচিত কি না, তা নিয়ে ৷ জয়রাম রমেশের সেই আশঙ্কাই কার্যত সত্যি হল ৷ কারণ, একমাত্র খাড়গেকে ছাড়া আর কোনও বিরোধী নেতৃত্বকে শপথ গ্রহণের প্রয়োজনবোধ করেনি এনডিএ তথা বিজেপি ৷