জেলা

পুলিশকে জানিয়ে লাভ না হওয়ায় মদের ঠেকে ভাঙচুর মহিলাদের

মালদা: গ্রামে দিনের পর দিন ধরে চলছে বেআইনি মদের ঠেক। আর এখান থেকেই মদ খেয়ে গ্রামে ঢুকে উপদ্রব করছে মদ্যপরা। ফলে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বারবার থানায় জানিয়ে কোনো লাভ না হয়নি৷ এমনটাই অভিযোগ মালদার ইংরেজবাজার থানার ৪২ বিঘা গ্রামবাসীদের৷তাই এর প্রতিবাদে মদের ঠেকে ভাঙচুর চালাল গ্রামের মহিলারা। খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই মদের জন্য গ্রামে বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে৷ আর তারাই এখান থেকে মদ পান করে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করে। সে কারণেই তারা এদিন ভাঙচুর করে।গ্রামবাসীদের দাবি, এই সব দোকানগুলির কোনও লাইসেন্স নেই। প্রকাশ্যেই দেদার বিক্রি হচ্ছে মদ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, থানায় ও আবগারি দফতরের বাবুদের মাসিক টাকা দিলেই মদ বিক্রির টেন্ডার পাওয়া যায়। আবার থানার পুলিশ কর্মীদের খুশি করতে এইসব হোটেলের মালিকরা নামিদামী বিদেশি মদ খাওয়ান।মাঝে মধ্যে নিয়ম মাফিক বা লোক দেখানো অভিযান হোটেল বা দোকানগুলোতে চালিয়ে মদ আটক করা হয়। কিন্তু তারপর কোনও এক অজানা কারণে মদ ব্যবসায়ী ছাড়া পেয়ে বুক চিতিয়ে আবার মদ বিক্রি করতে থাকেন। এই হোটেলগুলিতে ১০ টাকার খরিদ্দার থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা ও তারও বেশি টাকার খরিদ্দারদের ভিড় দেখা যায়।আর এই মদের দোকানগুলিতে সন্ধ্যে হতেই ভিড় জমায় অল্পবয়সি যুবক থেকে শুরু করে বহু মানুষ৷ তাদের জন্য আরাম করে পানের জন্য চলতি ভাষায় কেবিন রয়েছে। মাঝে মাঝেই মদের আসরগুলিতে গন্ডগোলের খবর শোনা যায়। আর এইসব কিছুই ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। তারা সব জেনেও নীরব বলে অভিযোগ।এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মদের আসরের জন্য যুব সমাজের ভবিষ্যত দিনের পর দিন তলানিতে ঠেকছে৷ যা সত্যিই সমাজের কাছে একটি লজ্জাজনক ঘটনা। তাদের ভবিষ্যত যে অন্ধকার বলাই বাহুল্য।ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা অবৈধ মদের কারবার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রশাসন ঠুটো জগন্নাথ হয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই মদ পিপাসু যুব সমাজকে সকাল থেকে এই ধরনের মদের ঠেকগুলো আকর্ষণ করছে। প্রত্যেকের দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিসত্বর এইসব অবৈধ মদ ব্যবসা বন্ধ করা দরকার।