জেলা

বাগুইআটিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ছাদ, মৃত ১

১৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল বাড়ি। কিন্তু, তারমধ্যেই বাড়ির একাধিক জায়গায় দেখা দিয়েছিল ফাটল। তাই অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই বাড়িটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবার। কিন্তু, তার আগেই ঘটে গেল বড়সড় বিপদ। খাটে বসে টিভি দেখার সময় আচমকা কিশোরের ওপর ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়ির ছাদ। তারফলে প্রাণ গেল ওই কিশোরের। মৃত কিশোরের নাম ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইহাটি থানা এলাকার বিধাননগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগরে।  জানা গিয়েছে, বাড়িটি ১৫ বছর আগে তৈরি হলেও বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। স্থানীয়দের দাবি, বাঁশের চটা বিছিয়ে এই বাড়ির ছাদ ঢালাই করা হয়েছিল। তাছাড়া, বাড়ির একাধিক অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় ওই বাড়িতে এর আগে পুরসভা থেকে বাস করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ওই বাড়িতে থাকছিল মণ্ডল পরিবার। তবে পরিবারের দাবি, তারা ওই বাড়িটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। এরজন্য তারা ঠিক করেছিলেন একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আপাতত কিছুদিন থাকবেন। সংস্কারের পর আবার তারা বাড়িতে ফিরবেন।পারিবারিক সূত্রের খবর, ধ্রুবজ্যোতির মা ও তার মেজদা ভাড়া বাড়ি খোঁজার জন্য এদিন বেরিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল ধ্রুবজ্যোতি। সে খাটের ওপর বসে টিভি দেখছিল। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদের একাংশ। প্রথমে তিনতলার ছাদ ভেঙে পড়ে দোতলার ছাদের ওপর। এরপর সেই ছাদ ভেঙে পড়ে কিশোরের ওপর। বাড়ি ভেঙে পড়তেই বিকট আওয়াজ শুনে সেখানে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। অচৈতন্য অবস্থায় গুরুতর জখম কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে। সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জানা যায়, বাড়ির বিভিন্ন অংশের দেওয়াল মেশিন দিয়ে কাটার পর কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে তাকে উদ্ধার করতে সময় লেগে যায় ৭ ঘণ্টা। তারফলে কিশোরের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। অনেকের দাবি, একটানা বৃষ্টির ফলে বাড়িটি আরও দুর্বল হয়ে যায়। তারফলে ভেঙে পড়ে বাড়িটি।