কলকাতা

‘গত ১০ দিনে দেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তি চাই, ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি অভিষেকের

আরজি কর কাণ্ডের পর আবারও মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে যখন পথে নেমেছেন সাধারণ, সচেতন নাগরিকরা, সেই সময়েই দেশে ঘটছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এতকিছুর পরেও কেন ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নে কোনও পদক্ষেপ করা হল না, তা নিয়েই এবার সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বৃহস্পতিবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, ‘গত দশদিনে গোটা দেশ যখন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন সকলে, সেই সময়ের মধ্যে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দুঃখের বিষয় ধর্ষণের বিরুদ্ধে কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আলোচিত হল না।’ অভিষেকের দাবি, ‘প্রতিদিন ৯০টি, প্রতি ঘণ্টায় ৪টি, ১৫মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে থাকে। ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন বলবৎ করা কতটা জরুরি তা স্পষ্ট। ৫০ দিনের মধ্যে গোটা বিচারপ্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি এবং দোষীরা শাস্তি পাবে, এমন আইন আনা হোক। কেন্দ্রের কাছে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন চালু করার জন্য রাজ্য সরকারকেই ক্রমাগত চাপ দিতে হবে।’

অভিষেক লিখেছেন, ‘‘গত ১০ দিনে যখন আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে, মানুষ সুবিচারের দাবি জানাচ্ছেন, সেই সময়েও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ দিনে দেশে ৯০০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। প্রতি দিন ৯০টি ধর্ষণের ঘটনার রিপোর্ট লেখানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় চারটি এবং প্রতি ১৫ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অথচ এত কিছু সত্ত্বেও এই অপরাধের কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বার করা গেল না।’’ অভিষেক আরও লিখেছেন, ‘‘দেশের ধর্ষণের অভিযোগের পরিসংখ্যানই বলছে, এই মুহূর্তে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন কতটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এমন আইন, যা অপরাধের ৫০ দিনের মধ্যে ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করে দোষী সাব্যস্ত করা নিশ্চিত করবে। নিশ্চিত করবে তার দ্রুত এবং কঠোর শাস্তি। কোনও সারবত্তাহীন প্রতিশ্রুতি দেবে না।’’ এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের উপর ‘চাপ সৃষ্টি করে’ ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, ‘‘সমস্ত রাজ্যগুলির সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে কঠোর ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা। এর থেকে বিন্দুমাত্র কম কিছু হলে, তা হবে নেহাৎই প্রতীকী এবং আদতে তাতে কোনও কাজ হবে না।’’