ক্রাইম

গানপয়েন্টে ঢাকুরিয়ায় IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণ! পুলিশ করছেটা কী? প্রশ্ন হাইকোর্টের, জামিন খারিজ

এবার লেক থানা এলাকায় ধর্ষনের অভিযোগ। রাজ্যের বাইরে কর্মরত এক IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠল। পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আদালতের। যৌন-নির্যাতনের মত গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে লঘু ধারায় FIR হওয়ার ফলে মামলা দুর্বল হয়েছে, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের।  প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফ আই আর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগ পত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠছে তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে,পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের। অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোন তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিস, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের।  গ্রেফতারির পরেই নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে জামিন পান অভিযুক্ত। পরবর্তী ক্ষেত্রে তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে আদালত। আজ নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন এবং আগাম জামিন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিস আধিকারিককে মামলা হস্তান্তর করা হল। তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন, নির্দেশ আদালতের।শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইন্সপেক্টর , একজন সার্জেন্ট এবং তিন মহিলা পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ।  ঘটনাটি চলতি বছরের ১৪ এবং ১৫ ই জুলাইয়ের ঘটনা। অভিযোগ যে ১৪ জুলাই রাত  ১১:৩০ নাগাদ এবং ১৫জুলাই ভোর ৬:৩০ নাগাদ নিগৃহীতা মহিলার বাড়িতে ঢুকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ধর্ষন করা হয়।  মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকে ওই মহিলাকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে ও তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার করে। শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে তিনি কোনওভাবে ওই মদ্যপ ব্যক্তির হাত থেকে রেহাই পান। মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার, বর্তমানে মুম্বইয়ে কর্মরত। পুলিসের বিরুদ্ধে ওঠে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। বিকাল ৪:১৫তে লেক থানায় পৌঁছালেও অভিযোগ গ্রহণ না করে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে। লঘু ধারায় মামলা দায়েরেরও অভিযোগ ওঠে। এমনকী পুলিসের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র বিকৃত করার অভিযোগ করা হয়।