হাওড়াঃ পনের দাবিতে ছেলে ও বৌমাকে বদ্ধ ঘরে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল বাবা ও মায়ের বিরূদ্ধে। মৃতদের নাম অমিত বর্মন(২৭)ও রেশমী বর্মন (২২)।ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মৃত অমিতের দুই ভাইকে আটক করলেও মূল অভিযুক্ত মৃতের বাবা ওঙ্কার প্রসাদ বর্মন ও মা কৌশল্যা বর্মন পলাতক৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড় থানার উত্তরমৌড়ী দাসপাড়ায়।জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে ওঙ্কারের বড় ছেলে অমিত ডোমজুড়ের রেশমীকে ভালোবেসে বিয়ে করে। অমিত কলকাতার বড়বাজারে একটি দোকানে কাজ করত। ওঙ্কারের আরও দুই ছেলে রাকেশ ও রমেশ ওই একই পরিবারে থাকত।অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বড় ছেলে অমিত ও বৌমা রেশমীর উপর শ্বশুর-শ্বাশুড়ী আরও বেশি টাকার জন্য চাপ দিত। টাকা না আনতে পারলে স্বামী স্ত্রী উভয়কে ব্যাপক মারধোর ও শারীরিক নির্যাতন করত অভিযুক্তরা।এমনকি বিয়েতে পাওয়া খাট, বিছানা, আলমারি সব কিছু কেড়ে নেওয়া হয়। প্রতিবেশিরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফের তুমুল অশান্তি হয়। রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত এই অশান্তি চলে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ অমিত ও তাঁর স্ত্রীর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে শ্বশুর ওঙ্কারকে ডেকে তুলে তাদের উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। শুক্রবার ভোরেই তাঁদের মৃত্যু হয়।উল্লেখ্য, মৃত ছেলে ও বৌমাকে হাসপাতালে ফেলেই অভিযুক্ত ওঙ্কার ও তার স্ত্রী কৌশল্যা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তেজিত প্রতিবেশিরা গাঁজা ব্যবসায়ী মেজো ছেলে রাকেশ ও ছোট ছেলে রমেশকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিবেশিরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।