পুজো

ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী বা ধনতেরাস কী!

ধনতেরাস নিয়ে নানা অভিমত আছে। নানা ভুল ধারণাও আছে। আমরা সকলেই জানি, ভারতের নানা অঞ্চলে ধনতেরাস পালিত হয় মূলত ‘ধন’-এর উৎসব হিসেবে। প্রধানত উত্তর এবং পশ্চিম ভারতে ‘ধনতেরাস’ মানেই হলো দেওয়ালির সূচনা, লক্ষ্মীর আরাধনা, ঘরদোর পরিষ্কার করা, সোনাদানা বা নতুন বাসনকোসন কেনা। দেখাদেখি গত এক দশক ধরে অসংখ্য বাঙালিও সোৎসাহে নেমে পড়েছেন ধনতেরাস পালনে, যদিও এবছর কলকাতার সোনার বাজারে এসেছে ভাটার টান। ভারতীয় মহাকাব্য ও পুরাণে কিন্তু ধনতেরাস মানে যে আদতে ‘ধন’ নয়, লক্ষ্মীপুজো নয়, সোনাদানা কেনা নয় তা অনেকেই জানে না। সোনা কিনতেই পারেন। সেটা খুব ভালো কথা। তার জন্য ধনতেরাস তৈরি করার প্রয়োজন নেই। এটা একেবারেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে হয়। ‘ভারত সরকার আয়ুর্বেদ, যোগ, ন্যাচারোপ্যাথি, উনানি, সিদ্ধ এবং হোমিওপ্যাথি (সংক্ষেপে AYUSH) মন্ত্রক এই দিনটিকে ‘জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে ২৮ অক্টোবর, ২০১৬ থেকে। তার কারণ, ধনতেরাসের দিন পূজিত হতেন ধন্বন্তরী, যিনি ভারতীয় শাস্ত্রমতে আয়ুর্বেদের দেবতা, যাঁর কল্যাণে আমরা লাভ করেছি সুপ্রাচীন এই চিকিৎসা পদ্ধতি। অতএব ‘ধনতেরাস’ শব্দটির উৎস ‘ধন’ নয়, ‘ধন্বন্তরী ত্রয়োদশী‘, সংক্ষেপে ধনতেরাস। হিন্দু পুরাণে বলে, সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে আসেন ধন্বন্তরী, এক হাতে অমৃতপূর্ণ কলস, অন্য হাতে গুল্মলতা থাকে। পুরাণে তিনি বর্ণিত হয়েছেন দেবতাদের ‘বৈদ্য’ অর্থাৎ চিকিৎসক হিসেবে। তাই এটি ধন্বন্তরির জন্মদিন। আর সর্বরোগহর সেই অমৃতের স্পর্শেই সবরকম রোগবালাই এমনকী, মৃত্যু থেকেও সুরক্ষিত হয়েছিলেন দেবতারা। কবে কীভাবে এই উৎসব পুরোদস্তুর ধনসম্পদের উৎসবে পরিণত হলো, কবেই বা ‘গড অফ হেলথ’ ধন্বন্তরীর জায়গায় অধিষ্ঠিত হলেন ‘গডেস অফ ওয়েলথ’ মা লক্ষ্মী, তা জানা যায় না। এখনও দক্ষিণভারতের কিছু মন্দিরে ধন্বন্তরির মূর্তিপুজো হয়। সেখানে দেখা যায় মূর্তির চার হাতে শঙ্খ চক্র অমৃতভান্ড ও গুল্মলতা থাকে। পুরাণ ঘেঁটে জানা যায় তিনি উদ্ভব হয়েই সৃষ্টি পালনকর্তা দেব নারায়ণের স্তব করেন, ভগবান নারায়ণ তাকে অব্জদেব বা জলসম্ভুত) নাম দিয়ে পুত্ররূপে স্বীকার করেছিলেন।  মহাভারতেও উল্লেখ রয়েছে ধন্বন্তরির। প্রাচীন শাস্ত্রে উল্লিখিত ধন্বন্তরিকে নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাহিনিটি হল সমুদ্রমন্থনের সময় প্রথমেই ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মী,ধবল ক্ষীর ও পারিজাত পুষ্পের পাশাপাশি ধন্বন্তরি উঠে আসেন। যার হাতে ছিল শ্বেত কমন্ডলু পুর্ণ অমৃত। বিষ্ণুধর্মোত্তরো গ্রন্থমতে এই ধন্বন্তরি ছিলেন চতুর্ভুজ সুদর্শন পুরুষ,শ্যামবর্ণ, পীতাম্বর, সুবর্ণখচিত মুকুটধারী। যার চারহাতে শঙ্খ,  অমৃতভান্ড,  অথর্ববেদ, এবং সবুজ গুল্মলতা থাকে। বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুসারে অনুমান করা হয় বুদ্ধদেবের চারশো বছর আগে এই ধন্বন্তরির আবির্ভাব।ধন্বন্তরির আরেক নাম নাকি দিবোদাস। ভারতীয় পুরাণ বলছে কাশীরাজের আসল নাম নাকি রাজা দিবোদাস। যিনি ছিলেন আচার্য সুশ্রুতের গুরু এবং আয়ুর্বেদ ঐতিহ্য অনুযায়ী শল্যবিদ্যার জনক। তাঁকে ধন্বন্তরির অবতার বলেও মনে করা হত সেযুগে। দিবোদাসের চিকিৎসা ছিল অব্যর্থ তাই লোকমুখে তিনি ধন্বন্তরির অবতার হিসেবে প রিচিতি পান। আবার কেউ কেউ বলছেন উনি ধন্বন্তরি উপাধি নেন। ধন্বন্তরি ও দিবোদাসের প্রসঙ্গে বিভিন্ন কাহিনির সন্ধান মিলেছে। প্রাচীন কাল থেকে ভারতের বেদজ্ঞ ঋষিরা ভেষজের গুণাগুণ-সম্বন্ধে বিশেষ অভিজ্ঞ ছিলেন। অথর্ববেদ তার একটা জাজ্বল্যমান প্রমাণ।স্বয়ং ব্রহ্মাদেব এই অথর্ববেদ রচনা করেন এবং তাঁর পুত্র প্রজাপতিকে অথর্ববেদজ্ঞান দান করেন। প্রজাপতি সে জ্ঞান দেন তাঁর শিষ্য সুর্য্যদেবকে। যিনি তা দেন তাঁর শিষ্য দেব চিকিৎসক অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে।তাঁরা সেই জ্ঞান দান করেন দেবরাজ ইন্দ্রকে। উপকথা বলে এই অথর্ববেদজ্ঞানকে জনকল্যাণের কাজে মর্ত্যলোকে প্রচার ও প্রসার জরুরী হয়ে পড়লে স্বয়ং প্রজাপালক বিষ্ণু ধন্বন্তরি রূপে পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করেন।দেবরাজ ইন্দ্রের থেকে অথর্ববদকে শ্রুতিতে ধারণ করেন মহামুনি ভরদ্বাজ।এই ভরদ্বাজের শিষ্যত্ব নেন কাশীরাজ দীর্ঘতমাপুত্র দিবোদাস। জগৎপতি বিষ্ণুর এক স্তবে পাওয়া যায়,” নমো ধন্বন্তরি কায় অমৃতধারক “। কিন্তু আজও বহু বাড়িতে ঘরদোর পরিষ্কার করে, সাধ্য থাকলে নতুন করে রঙ করে, ধনতেরাসের দিন সন্ধ্যাবেলা ধন্বন্তরীর পুজো করা হয়। প্রদীপ দেওয়া হয় তুলসীতলায় বা বাড়ির দোরগোড়ায়, যাতে যমরাজ এই উৎসবের আমেজে অকস্মাৎ বাধা না দিতে পারেন। অবশ্য দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই আসন্ন দীপাবলি উৎসবের আনন্দে ধনতেরাসের দিন লক্ষ্মীরই পুজো হয়। বাড়ির প্রধান প্রবেশপথ সাজানো হয় আলো দিয়ে, আলপনা বা রঙ্গোলি দিয়ে। ধনতেরাসের রাতে সারা রাত ধরে জ্বলে প্রদীপ। ভজন, পূজন, মিষ্টির নৈবেদ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় লক্ষ্মীকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রকারের নৈবেদ্য। হিন্দুদের মধ্যে বিশ্বাস, নতুন কিছু কিনতে হলে, বিশেষ করে সোনা, রূপো, বাসন বা অন্য কোনও ধাতু বা ঝাটা, এর চেয়ে ভালো দিন আর নেই। ১৩-সংখ্যাটিকে অনেকেই আনলাকি বলে থাকেন। ১৩ র সঙ্গে কোথাও রয়েছে দুর্ভাগ্যের যোগ – এমনি বিশ্বাস অনেকের। তবে ধনতেরসের দিনে ১৩ নম্বরটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। জেনে নিন ধনতেরসে কোন কাজগুলি ১৩ বার করা উচিত এবং এতে কী কী উপকার পাওয়া যায়। ধন মানে সমৃদ্ধি আর তেরাস মানে তেরো দিন। ধনতেরাস উৎসব সম্পদ এবং স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। এই দিনে দেবী লক্ষ্মী ও কুবের দেবের আরাধনা করলে ধন-সম্পদ ও দ্রব্যাদি ১৩ গুণ বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে ভগবান ধন্বন্তরীর পুজো করলে তেরো গুণ স্বাস্থ্য উন্নতি হয় বলে বিশ্বাস। তাই এই দিনে ১৩ নম্বরটিকে শুভ বলে মনে করা হয়।

🔴 ধনতেরসে ১৩সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব

🟢 ১৩ টি দীপ জ্বালান – ধনতেরস থেকে আলোর উৎসব শুরু হয়। এই দিন সন্ধ্যায় ১৩ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরে এবং উঠোনের বাইরে রাখুন। এই উপাচার দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করবে। হিন্দুদের মধ্যে বিশ্বাস, এতে চাকরি ও ব্যবসায় বাধা দূর হয়। ঘরের নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। ইতিবাচক শক্তি গৃহে প্রবেশ করে। 

🟢 পাত্রে ১৩ টি ধনে – কথিত আছে যে ভগবান ধন্বন্তরি তাঁর হাতে একটি পিতলের পাত্র নিয়ে সমুদ্র থেকে উঠে এসেছিলেন, তাই ধনতেরসের দিন একটি পিতলের পাত্র কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ধনতেরসের দিন এই নতুন পাত্রে শস্য, ধনে রাখা যায়।  হিন্দুদের এও বিশ্বাস এই নিয়ম মানলে ঘরে খাবার বা অর্থ, কোনও কিছুরই টান পড়ে না। এই দিনে রূপার পাত্র কেনাও শুভ। 

🟢 ১৩ টি মুদ্রা – এই দিনে একটি নতুন রৌপ্য মুদ্রা এবং কিছু পুরানো সাধারণ মুদ্রায় হলুদ ছুঁইয়ে নিন। তারপরে দেবী লক্ষ্মীর চরণে অর্পণ করুন। এও কথিত আছে, এই উপাচার দেবী লক্ষ্মীকে ঘরে ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর্থিক সংকট ও ঋণ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

🟢 ১৩ টি জিনিস দান  – কথিত আছে ধনতেরসের দিনে খাদ্য, বস্ত্র, প্রদীপ, লোহা, নারকেল, মিষ্টি ইত্যাদি জিনিস দান করা খুবই শুভ। এতে সম্পদ বৃদ্ধি পায়। কথিত আছে যে ধনতেরসে ১৩ টি জিনিস দান করলে দুর্ভাগ্য কখনই কাছে আসে না।

🟢 কুবেরের মন্ত্র ১৩ বার জপ –  ওম যক্ষে কুবেরায় বৈশ্রবণায় ধন্যা ধান্যাধিপতায় ধন শস্য সমৃদ্ধি মে দেহি দাপে দপে স্বাহা – এটি কুবের দেবের মন্ত্র।  হিন্দুদের বিশ্বাস যে ধনতেরসের দিনে ১৩ বার কুবেরের মন্ত্র জপ করলে প্রচুর সম্পদের অধিকারী হওয়া যায়।  

এও কথিত আছে এদিন সম্পদের দেবতা কুবেরও পূজিত হন। কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে সে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি। রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস পালন শুরু হয়। ধনতেরাসের পরের দিন নরক চতুর্দশী বা ভূত চতুর্দশী।

🔴 কেনাকাটার শুভলগ্ন

কেনাকাটার জন্য যে তিনটি মুহূর্ত সবচেয়ে শুভ তার একটি শুরু হচ্ছে সকাল ৬:৩১ মিনিট থেকে। শেষ হচ্ছে সকাল ১০:৩১ মিনিটে। দ্বিতীয় মুহূর্ত সকাল ১১.৪২ মিনিট থেকে দুপুর ১২.২৭ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। শেষ তথা তৃতীয় মুহূর্তটি গোধূলি বেলায়। শুরু ৫.৩৮ মিনিটে। শেষ সন্ধ্যা ৬.০৮ মিনিটে। 

বর্তমানে ধনতেরাস কেউ কিনছেন সোনা, তো কেউ কিনছেন রুপোর মূর্তি বা ছোট কয়েন। ও এই বিষয়ে বলে রাখি, অনেকেই মনে করেন এই দিনে সোনা-রুপা-পিতল কিনলে নাকি আর্থিক সঙ্গতি ক্রমশই বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ জায়গায় এই দিনে লক্ষ্মী গণেশ এবং কুবেরের পুজো করা হয়। সঙ্গেই থাকে রুপোর সিঁদুর কৌটো এবং সুখের ঝাঁপি অবশ্যই থাকে। পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখার সাপেক্ষেই কিন্তু এইদিন বেশ কিছু সমৃদ্ধির চাবি অনেকেই কিনে থাকেন।

🔴 ধনতেরাসে পুজোর শুভ মূহূর্ত-

ধনতেরাসের পুজোর শুভ মূহূর্ত শুরু হবে ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৮ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত। এই ১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট রয়েছে পুজোর সময়। যম দীপ দান করাও এই ২৯ অক্টোবর হবে। প্রদোষকাল বিকেল ৫ টা ৩৭ মিনিটে থেকে সন্ধ্যা ৮ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। 

ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী ও কুবেরের পাশাপাশি ধন্বন্তরির পুজোও করা হয়। সন্ধ্যা ৬.৩১ মিনিট থেকে রাত ৮.৩১ মিনিটের সময়টি শুভ। ফুল, মিষ্টি, দীপ, ধূপ দিয়ে একমনে পরিবারের কল্যাণের জন্য পুজো করে।

🔴 ধনতেরাসে কোন কোন জিনিস কিনতে নেই –

১) কালো রঙের কোনও জিনিস এইদিন বাড়িতে একেবারেই নিয়ে আসবেন না। এমনকি কালো প্লাস্টিক পর্যন্ত নয়। কালো রং এইদিনে একেবারেই চলে না।

২) কাচ অনেকের কাছেই শুভ বলে বিবেচিত হতে পারে, তবে নতুন কোনও কাচের জিনিস একেবারেই কিনবেন না। প্লাস্টার অফ প্যারিস কিংবা অন্য কোনও পদার্থের জিনিস কিনতে পারেন।

৩) ছুরি, কাঁচি, বটি অথবা কোনও ধারালো অস্ত্র এইদিন না কেনাই ভাল কারণ সমস্যা হতে পারে।

৪) তেল কিংবা ঘি। আগে থেকেই তেল কিংবা ঘি বাড়িতে মজুত করে রাখুন। কারণ সামনেই দীপাবলি এবং ভূত চতুর্দশী উপলক্ষে তেল লাগবেই। আগে থেকে প্রস্তুতি নিন।

৫) জেনে বুঝে তবেই সোনা কিনুন। নকল সোনা কিন্তু এদিনে একেবারেই কিনবেন না। পেটা সোনার জিনিস, অন্যান্য ধাতু বর্জিত হলে তবেই কিনুন।

৬) অ্যালকোহল কিংবা মাদক জাতীয় পানীয়। উৎসবে অনুষ্ঠানে এই পিপাসা সকলের থাকে। কিন্তু ধনতেরাস উপলক্ষে একেবারেই এগুলি কিনবেন না কিংবা ঘরে নিয়েও আসবেন না।

৭) বিশেষ করে ধনতেরাস এই দিনে কারওর জন্য কোনও উপহার কিনবেন না। এমনকি তাঁকে দেবেনও না সেই উপহার। সম্পর্ক একেবারেই উল্টে যাবে।

৮) খালি কোনও পাত্র অর্থাৎ কুঁজো কিংবা কোনও হাঁড়ি এগুলো একেবারেই এই দিনে কিনবেন না। এতে সুখের চাবি হারিয়ে যেতে পারে।

৯) লোহা দিয়ে তৈরি জিনিস কিনবেন না।

১০) তুলো সে সাধারণ তুলো হোক কিংবা শিমুল এই দিয়ে তৈরি জিনিস – বালিশ, তোষক এগুলি একেবারেই নতুন করে এইদিনে কিনবেন না।

১১) ঝাঁটাও কিনবেন না। ঝাঁটা কিনলে তা সংসারে শুভ শক্তি বহন করে আনে।