নৈহাটিতে জিতেছে তৃণমূল। এবারের উপনির্বাচনে নৈহাটিতে তৃণমূলের কাছে দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি ও বামদলগুলি। এরপরই মঙ্গলবার বড়মার কাছে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, নৈহাটির নবনির্বাচিত বিধায়ক সনৎ দে-সহ অন্য বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ভক্তিভরে শাড়ি তুলে দেন। সঙ্গে করে তিনি মিষ্টি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই মিষ্টি তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেন। এর আগে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন বড়মার মন্দিরে। এবার এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকাল থেকেই করা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় নৈহাটির অরবিন্দ রোড বড়মার মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান রাস্তার দু’পাশে। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলক রাজরিয়া-সহ জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী ও মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরাও। গাড়ি থেকে নেমেই মন্দিরে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতে ছিল বড়মার জন্য আনা নতুন দুটি বেনারসি শাড়ি। শুধু তাই নয়, তিনি কৌটো করে নাড়ুও নিয়ে আসেন বড়মাকে নিবেদন করার জন্য। এর পরই বড়মার কষ্টি পাথরের নবনির্মিত মূর্তির সামনে গিয়ে কথা বলেন পুরোহিতের সঙ্গে। একে একে নতুন বস্ত্র, নাড়ু, ফল, মিষ্টি তুলে দেন পুজোর জন্য। এর পরই নিষ্ঠা সহকারে পুজো দিতেও দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, দ্বীপ হাতে দেন অঞ্জলিও। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় আধ ঘণ্টা মতো মন্দিরে ছিলেন। মন্দিরের মধ্যেই পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনাও করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এর পরই মন্দির থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ব্যক্তিগত কোনও গোত্রে নয়, মা মাটি মানুষের নামেই বড়মার কাছে পুজো দিলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বড়মার মন্দির সংলগ্ন ফেরিঘাটের নাম বড়মার নামে রাখারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী । ফলে আগামিদিনে এই ফেরি ঘাট নৈহাটি ফেরি সার্ভিসের বদলে বড়মা ফেরি সার্ভিস নামে পরিচিতি পেতে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে সেই ছবি পোস্ট করেছেন।