‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল নিয়ে তৈরি হতে চলা যৌথ সংসদীয় কমিটিতে বিজেপির তরফে সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং নিশিকান্ত দুবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফে কমিটিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং মনীশ তিওয়ারি থাকবেন বলে জানা গিয়েছে ৷ সংসদের যৌথ কমিটির জন্য কংগ্রেস সুখদেও ভগত এবং রণদীপ সুরজেওয়ালার নামও রেখেছে বলে খবর। তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং সাকেত গোখলে, শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে, জেডিইউ-এর সঞ্জয় ঝা, ডিএমকে-র টিএম সেলভাগানাপতি, পি উইলসন কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ যৌথ সংসদীয় কমিটির জন্য 31 জন সদস্য থাকতে পারে ৷ যেখানে লোকসভা থেকে 21 এবং রাজ্যসভা থেকে 10 জন সাংসদ থাকতে পারেন। সূত্রের খবর, অনুরাগ ঠাকুর এবং পিপি চৌধুরীকেও সম্ভাব্য বিজেপির প্যানেলের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে ৷ যেখানে গেরুয়া শিবির এবং তার সহযোগীরা সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনুযায়ী থাকবে। একযোগে দেশে নির্বাচন করতে মানে ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ বিল কার্যকর করতে সংবিধানে সংশোধনী প্রয়োজন ৷ ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ভোটাভুটির পর লোকসভায় বিলটি পেশ হয়েছে। এরপর থেকে যৌথ সংসদীয় কমিটি তৈরির ব্যাপারে আলোচনা চলছে। বিরোধী দলগুলি অবশ্য এই ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপর আক্রমণ হিসেবে ৷ সংসদ চত্বরে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধি কেন্দ্রীয় সরকারের আনা এই সংক্রান্ত দুটি বিলকে “সংবিধান বিরোধী” বলে নিশানা করেছেন। তিনি আরও বলেন, “এটি আমাদের দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আমরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি ৷” অন্যদিকে, বিজেপি এবং তার জোট শরিক (টিডিপি, জেডিইউ এবং শিবসেনা)-রা দৃঢ়ভাবে বিলগুলির ইতিবাচক দিক তুলে ধরার কাজ করেছে ৷ তাদের দাবি, ঘন ঘন নির্বাচন হলে উন্নয়নের কাজ থমকে যায় ৷ তাছাড়া একযোগে নির্বাচনের ফলে নির্বাচনী খরচও কম হবে ৷