দেশ

ভুয়ো ভোটার বিতর্ক এড়ানোর চেষ্টা! আধার-ভোটার সংযুক্তিকরণে দ্রুত কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন

ভুয়ো ভোটার বিতর্ক এড়াতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। এই ইস্যুতে তৃণমূল রাস্তায় নামার পরই  আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের তোড়জোড় শুরু করল নির্বাচন কমিশনে। আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন নির্বাচন কমিশনাররা। যদিও তৃণমূল স্পষ্ট বলছে, সবটাই মুখ বাঁচানোর চেষ্টা। ২০২১ সালে জনপ্রতিনিধি আইন সংশোধন করে আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্র। মূলত ভোট প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করতে নির্বাচনী আইনে ওই পরিবর্তনের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশনই। শুরু হয় আধার-ভোটার সংযুক্তিকরণ। যদিও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার’ সংক্রান্ত মামলার কারণেই বাধ্যতামূলক করা হয়নি ভোটার-আধার সংযুক্তিকরণ। আপাতত বিষয়টি ‘ঐচ্ছিক’। তবে এবার কমিশন এই সংযুক্তিকরণের বিষয়টিতে গতি আনতে চাইছে। সেকারণেই শুরু হচ্ছে তোড়জোড়। সূত্রের খবর আগামী সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।  বস্তুত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূতুড়ে ভোটার কার্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর কমিশন রীতিমতো ব্যাকফুটে। যেভাবে একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার থাকার একাধিক নজির প্রকাশ্যে আসাটাও চাপ বাড়িয়েছে কমিশনের উপর। যে কারণে এর আগে তিন বার বিবৃতি দিতে হয়েছে কমিশনকে। এবার আধার-ভোটার নিয়ে বৈঠক ডাকল কমিশন। যদিও তৃণমূল স্পষ্ট বলছে, কমিশন এসব করে আসলে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার উপদলনেতা সাগরিকা ঘোষের বক্তব্য, “এসব করে কমিশন মুখ বাঁচাতে চাইছে।” সাগরিকার দাবি, “আধার কার্ড ক্লোন করে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটার প্রমাণও আমাদের হাতে এসেছে। আধার কার্ড ক্লোন এপিক কার্ডকে কোনেওভাবে প্রভাবিত করবে না সেটা কেন কমিশন বলতে পারছে না?”