লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২২৭-৩ (পন্থ ১১৮, মার্শ ৬৭),
আরসিবি: ২৩০-৪ (জীতেশ ৮৫, বিরাট ৫৪),
৬ উইকেটে জয়ী আরসিবি।
মঙ্গলবারের ম্যাচটা আরসিবির জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ততটা লখনউয়ের জন্য নয়। বলা ভালো, এটা লখনউয়ের জন্য নেহাতই ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও ঋষভ পন্থ প্রাণ খুলে ব্যাট করলেন। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে একেবারে শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে খেলে গেলেন তিনি। লখনউ যে ২২৭ রান করলেন সেটার অর্ধেকের বেশি এল পন্থের ব্যাটেই। মাত্র ৬১ বলে ১১৮ রান করলেন তিনি। সেঞ্চুরির ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি আর ৮টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন তিনি। পন্থ ছাড়া মিচেল মার্শও ৩৭ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেললেন। একানার ব্যাটিং সহায়ক পিচে ২২৮ রানের টার্গেট খুব সহজ ছিল না। কিন্তু কাজটা সহজ করে নিলেন বিরাট কোহলিরা। আরসিবির হয়ে শুরুটা দারুন করলেন। প্রথম উইকেটের জুটিতেই সাড়ে পাঁচ ওভারে ৬১ রান তুলে দেন তাঁরা। যদিও এরপর সামান্য সময়ের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। কোহলিও ৫৪ রান করে আউট হয়ে যান। তখনও জয়ের জন্য একশোর বেশি রান প্রয়োজন। সেখান থেকে অনবদ্য জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে দিলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক জিতেশ শর্মা এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মায়াঙ্ক করলেন ২৩ বলে ৪১। আর জিতেশ ৩৩ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন। শেষে ৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি। এটা আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করে তাঁদের সবচেয়ে বড় জয়। তাছাড়া এই মরশুমে সবকটা অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতল আরসিবি। সেটাও রেকর্ড।এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে ফেলল আরসিবি। ফলে তারা কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলার সুযোগ পাবে। ওই ম্যাচ হারলেও কোয়ালিফায়ার টু খেলার সুযোগ পাবে। শেষবার ২০১৬ সালে আরসিবি প্রথম দুয়ে শেষ করেছিল। বস্তুত এর আগে দুবার কোয়ালিফায়ার ১ খেলার সুযোগ পেয়েছে আরসিবি। দুবারই ফাইনাল খেলেছে তারা।


