কলকাতা

উল্টোরথ ও মহরম উপলক্ষে নবান্নে বিশেষ বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী শনিবার উল্টোরথ ৷ পরের দিন মহরম ৷ আর ১০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা। এ উপলক্ষে বুধবার নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রথের মতোই উল্টোরথেও একই গুরুত্ব সহকারে সমস্ত ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ কুমার পন্থ-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ৷ এছাড়াও ছিলেন একাধিক দফতরের মন্ত্রী ও সচিবরা। উল্টোরথ উপলক্ষে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দীঘা জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম ট্রাস্টি তথা ইসকনের তরফে রাধারমন দাস। রথে দিঘাতে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও উল্টোরথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘা যাচ্ছেন না ৷ এদিন এই বৈঠক থেকেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে দিঘায় উল্টোরথে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্টোরথ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে অবশ্যই রথের মতো উল্টো রথেও ব্যবস্থাপনায় যেন কোনও ত্রুটি না-থাকে স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রথের সময় কিছু ত্রুটি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলি তৎক্ষণাৎ সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, উল্টোরথে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে। এদিন দিঘার মন্দির কর্তৃপক্ষকে রথের জন্য পুরীর আদলে মোটর এবং ডেক তৈরি করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, মাসির বাড়ি থেকে দিঘায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা মন্দিরে ফেরার পরেই সরাসরি মন্দিরে অধিষ্ঠিত হবেন না ৷ উল্টোরথে মন্দিরে ফিরলেও তিন দিন মন্দির ক্যাম্পাসে রথের মধ্যেই থাকবেন তিন ভাইবোন । আগামী ৮ তারিখ রথ থেকে আবার বিগ্রহ মন্দিরে ফিরে আসবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামিকাল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ইসকন মন্দিরের রথের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন বিকেল চারটের সময় বিগ্রেডে যাবেন তিনি ৷ প্রত্যেক বছর নিয়ম করে রথযাত্রার উদ্বোধনে কলকাতা ইসকন মন্দিরে উপস্থিত থাকেন তিনি। কিন্তু এবার তিনি দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে রথযাত্রা উদ্বোধন করেন তিনি ৷ আগামী রবিবার মহরম। এই উপলক্ষে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে তার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই সময় রাস্তায় ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষ তাজিয়া বের করেন। সুষ্ঠুভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে তাঁদের ধর্মীয় কার্যক্রম করতে পারেন, তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা ৷ তার প্রস্তুতি নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিবতীর্থ তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে প্রচুর মানুষ গিয়ে উপস্থিত হন। এই হিন্দু সনাতনী অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য তিনি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সময় মন্ত্রী সুজিত বসুকে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়ে পর্যালোচনা করার ৷