তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর জেলার ঐতিহাসিক গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরম মন্দির দর্শনে যান ৷ সেখানে দেশবাসীর জন্যে প্রার্থনা করেছেন বলে জানান মোদি ৷ আগামী বছর তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন ৷ আর তার কয়েক মাস আগে দক্ষিণের কিংবদন্তি চোল রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোলের জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ ৷ এদিন চিরাচরিত দক্ষিণী বেশে মন্দিরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷ তাঁকে স্বাগত জানান স্থানীয় পুরোহিতরা ৷ তাঁকে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ করতে দেখা যায় ৷ তিনি একটি কলসিও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাতে গঙ্গা নদীর পবিত্র জল ছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের কল্যাণের জন্য এবং দেশের উন্নতির জন্য প্রার্থনা করেছি ৷” প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, চোল রাজাদের নামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের পরিচিতি নিবিড়ভাবে জড়িত ৷ তাঁদের কীর্তি ভারতীয়দের কাছে আজও গর্বের বিষয় ৷ সিঙ্গাপুর ও মলদ্বীপ সফর শেষ করে শনিবার দেশে ফিরে তামিলনাড়ুর থুঠুকুড়িতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী ৷ সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ৷ এরপর রবিবার তিনি আরিয়ালুর জেলার ঐতিহাসিক গঙ্গাইকোন্ডা চোলাপুরম মন্দির দর্শনে যান ৷ তাঁকে মন্দিরের চিরাচরিত ‘পুরানা কুম্ভম’ রীতি অনুযায়ী স্বাগত জানানো হয় ৷ এই প্রাচীন মন্দিরটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ইউনেসকো এই স্থানটি ‘ঐতিহ্যবাহী স্থানের’ স্বীকৃতি দিয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উপাচারেও অংশ গ্রহণ করেন ৷ চোল রাজাদের শাসনকালে শিবের পুজো এবং স্থাপত্য নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে মন্দিরে ৷ সেই প্রদর্শনীটিও ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী ৷ থিরুভাথিরাই উৎসবে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “সংস্কৃতি মন্ত্রক একটা দারুণ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ৷ এখান থেকে অনেক কিছু জানা যায় ৷ অনুপ্রেরণা পাওয়া যায় ৷ প্রায় এক হাজার বছর আগে মানব সভ্যতার কথা জেনে আমরা গর্বিত ৷ হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন ৷ চিন্ময় মিশনের উদ্যোগে আমি তামিল গীতার প্রচলনের সুযোগ পেয়েছি ৷ সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৷” চোল রাজাদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “চোল রাজারা তাঁদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক শ্রীলঙ্কা থেকে শুরু করে মলদ্বীপ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ এটা একটা সমাপতন যে আমি গতকাল মলদ্বীপ থেকে ফিরেছি এবং এখানে এই উৎসবে সামিল হয়েছি ৷ আমাদের পুরাণে লেখা আছে, শিবের অনুগামীরা নিজেদের এমনভাবে ভক্তিতে নিমজ্জিত করেন যে তাঁদের অস্বস্তি কেউ কখনও মুছে দিতে পারে না ৷ সেভাবেই চোল সাম্রাজ্যও অমর হয়ে গিয়েছে ৷”


