অফবিট দেশ

অনন্তনাগের ঝরনা থেকে মিলল দেব-দেবীর মূর্তি, উদ্ধার হয়েছে শিবলিঙ্গও

জন্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল একটি ঝরনা সংস্কারের কাজ। সংস্কারের প্রয়োজনে চলছিল খননও। সেই খননের সময়েই শনিবার ঘটল অভূতপূর্ব ঘটনা। কোদালের ঘায়ে উঠে এল ঝরনায় চাপা পড়ে থাকা শিবলিঙ্গ-সহ একাধিক দেবদেবীর মূর্তি। দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার অনন্তনাগের আইশমুকামের সালিয়া এলাকার কারকুট নাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রাচীন যুগে এই দেবদেবীর মূর্তি। প্রত্যক্ষদর্শী সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, পাথরের টুকরোর উপর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছিল দেব-দেবীর মূর্তিগুলি। শুধু পাথরে খোদাই করা দেবদেবীর মূর্তিই নয়, উদ্ধার হয়েছে শিবলিঙ্গও। PWD দপ্তরের তরফ তত্ত্বাবধানে এই ঝরনা সংস্কারের কাজ করানো হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। খননের সময় একটি জায়গা থেকে অস্বাভাবিক শব্দ আসতেই তদারকিতে থাকা সরকারি আধিকারিককে ডেকে আনেন শ্রমিকরা। দেখা যায়, সেখানে মাটির নীচে রয়েছে বেশ কিছু মূর্তি। সরকারি আধিকারিকের তত্ত্বাবধানেই সাবধানে তুলে আনা হয় একের পর এক মূর্তিগুলি। খবর দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরের আর্কাইভ, প্রত্নতত্ত্ব এবং জাদুঘর বিভাগের আধিকারিকদের। তাঁরা এসে জায়গাটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মূর্তিগুলির বয়স ও বাকি সমস্ত তথ্য জানতে পরীক্ষার জন্য শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হবে। মূর্তিগুলি পরীক্ষার পরই গবেষকরা জানাতে পারবেন এগুলি ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় কারকোটা বংশের সঙ্গে যুক্ত বহু কাশ্মীরি পণ্ডিতের বাস ছিল। জেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানটি এক সময়ে তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত ছিল। এই এলাকার এক আদি বাসিন্দা জানান, ‘এটা একসময় কারকোটা রাজবংশের এলাকা ছিল। সে সময়ে এখানে মন্দিরও ছিল। হতে পারে মূর্তিগুলি সেই মন্দিরেরই অংশ।’