কলকাতা

জন্মের শংসাপত্র নিয়ে নয়া গাইডলাইন রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের

বিহারে SIR চালুর সময় সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল জন্মের শংসাপত্রের উপর । এই রাজ্যেও ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তরফে আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে । রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে SIR চালুর প্রস্তুতি রাখা হয়েছে । এরই মাঝে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে জন্মের শংসাপত্র সংশোধনের ক্ষেত্রে কড়া গাইডলাইন জারি করা হল । রাজ্যের প্রত্যেকটি হাসপাতালের বার্থ রেজিস্টার হিসাবে নার্সিং স্টাফদের সরিয়ে তাদের জায়গায় একজন করে মেডিক্যাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । জন্ম-শংসাপত্র সংশোধনের আড়ালে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর । সেই জন্য কি আগেভাগেই জন্মের শংসাপত্র দেওয়া এবং সংশোধন নিয়ে কড়া গাইডলাইন জারি ? এমনই সন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে স্বাস্থ্য ভবনের অন্দরে । স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জন্মের শংসাপত্র দেওয়া এবং নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি এবং বেনিয়মের অভিযোগ আসছিল দীর্ঘদিন ধরে । তারই পরিপ্রেক্ষিতে এবার গাইডলাইন জারি । প্রয়োজন অনুসারে আর ইচ্ছামত নাম সংশোধন করা যাবে না । সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে এই মর্মে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক এবং কলকাতা পুরনিগমের কমিশনারকে । জারি করা হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন ।

নয়া গাইডলাইন অনুযায়ী :

1. যদি কোনও শিশুর ক্ষেত্রে নাম ছাড়াই, রেজিস্টারে তথ্য দেওয়া হয় তাহলে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ দেখে তবেই নতুন করে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন রেজিস্ট্রার । সেক্ষেত্রে, রেজিস্ট্রার যদি মনে করেন তবেই নাম নথিভুক্ত করতে পারেন কোনও শিশুর ।
2. মা ও বাবার ডিভোর্স হয়ে গেলেও শিশুর যে নাম আগে রেজিস্টারে থাকবে তা কোনওভাবেই বদল করা যাবে না ।
3. কোনও ক্ষেত্রে নামের বানান ভুল, ক্ল্যারিক্যাল এরর, রেজিস্টারে তোলার সময় কোনওভাবে ভুল হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পরই নামের সংশোধন করা যাবে ।
4. আগে থেকে জন্মের সময় দেওয়া রয়েছে কিন্তু নাম নেই, সেক্ষেত্রেও নতুন করে রেজিস্টারে নাম তোলা যাবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ।
5. জন্মের সময়ের পরিবর্তন কোনওভাবেই করা যাবে না । যদি তা করতে হয় তার জন্য যথাযোগ্য প্রমাণ দিতে হবে ।
6. ব্যক্তিগত পরিচয় পরিবর্তনের জন্য নিছকই নামের সংশোধন করা যাবে না ।