কলকাতা দেশ

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার পাশে কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাংলার তিন জেলার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকালে একটি টুইটে সেকথা জানান প্রধানমন্ত্রী। সকলের সুস্থতাও কামনা করেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়ার প্রত্যন্ত এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে কাঁচাবাড়ি। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বহু জায়গায় ব্যাহত পরিষেবা। বকখালি, নামখানায় ভেঙে গিয়েছে জেটিও। ঘূর্ণিঝড়ে জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই। তাঁরা প্রায় সকলেই আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। কখনও বাড়ি থেকে, আবার কখনও নবান্নের কন্ট্রোল রুমে এসে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের তদারকি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতভর তিনি নবান্নে ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি নবান্নে আসেন। দোতলায় বিপর্যয় দপ্তরের পাশেই কন্ট্রোল রুম। সেখানে গিয়ে বসেন। আবার কখনও ১৪ তলায় নিজের ঘরে গিয়েও খোঁজখবর নেন। তাঁর নেওয়া আগাম প্রস্তুতির জন্যই ব্যাপক প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে গোটা রাজ্য। এবার তা মানতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  রবিবার সকালে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একটি টুইট করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়েছে বাংলায়। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে রাজ্যের। বুলবুল বিধ্বস্ত রাজ্যের পাশে রয়েছে কেন্দ্র। আমি প্রার্থনা করি সকলে ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।’ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের ড্রোন উড়িয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে। নটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথাও বলেছেন মুখ্যসচিব। কেন্দ্রের কাছে রিপোর্টও পাঠানো হবে বলেই জানা গেছে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1193307890934636545