ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার রাজ্যপালের, যাদবপুরে এক ঘণ্টা ধরে গাড়ি আটকে, শেষে ক্যাম্পাস ছাড়লেন ধনখড়
কলকাতাঃ ফের ঘেরাও-বিক্ষোভের মুখে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরেই গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে বাদ দিয়েই শুরু হল অনুষ্ঠান। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি মণ্ডপে। ফলে ফিরে যেতে হল জগদীপ ধনখরকে। আজ সকালেই তাঁকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। আজও কালো পতাকা দেখানো হয়। গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় তাঁর নাম করে। আজ সকালে তিনি তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন উপাচার্যকে ফোন করে। ফের রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা ৷ ইচ্ছাকৃতভাবেই বাধা তৈরি করা হয়েছে, যাতে পড়ুয়ারা তাদের পরিশ্রমের ফল না পায় ৷” সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে যাওয়ার কথাও জানালেন ধনকড় ৷ মমতাকে উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, “উপাচার্যকে জানানোর পরও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি দেখে আমি অবাক ৷ বাধ্য হয়ে আমি যাদবপুর ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছি ৷”
ধনখড় উপাচার্যকে দায়ি করে তিনি টুইট করেন, “এটি একটি বেদনাদায়ক দৃশ্য ৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যালিবাই খুঁজছেন ৷ ধ্বংসাত্বক পরিস্থিতি ৷” উপাচার্য সম্পর্কে তিনি আরও টুইট করেন, “উপাচার্যের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন দেখে আমি অবাক ৷ উপাচার্য কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ৷ বরং আমিই যোগাযোগ করেছি ৷ যারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী, তাদের সঙ্গে কথা না বলে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত উপাচার্য ৷”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গাড়িতে বসেই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে টুইট করেন জগদীপ ধনকড় ৷ লেখেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ৷ যাতে পড়ুয়ারা তাদের ডিগ্রি পায়, তাদের পরিশ্রমের ফল পায় এবং সমাজে তাদের অবদান রাখতে পারে ৷ দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ ৷ নীতি বিরুদ্ধ ৷ কর্তৃপক্ষ কোনও সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি ৷ দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি ৷
এই টুইটের কিছুক্ষণ পর তিনি আবার টুইট করেন ৷ লেখেন, “প্রায় জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া রাস্তা আটকে রেখেছে ৷ সিস্টেমকে ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে ৷ এটি একটি বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি করবে ৷ আইনের কোনও ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি না ৷ সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি চিন্তিত ৷”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সংবাদমাধ্যমকে মানুষের কথা ভাবার দিকে নজর দিতে বললেন জগদীপ ধনকড় ৷ টুইটে লেখেন, “এই ধরনের পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমকে মানুষের ভালোর দিক চিন্তা করতে হবে ৷ ছাত্রদের স্বার্থ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, সেদিকে নজর ফেরাতে সংবাদমাধ্যমকেই ব্যবস্থা নিতে হবে ৷”