নতুন বছরের প্রথম দিন সুখবর দিল ইসরো। ফের চাঁদে পাড়ি দেবে ভারত। ‘চন্দ্রযান ২’-এর ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এবার চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। গতবারের চন্দ্রযান–২ থেকে ল্যান্ডার বিক্রম আলাদা হয়ে গিয়ে চাঁদের মাটিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ইসরো প্রধান কে শিবানের পিঠে হাত রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ব্যর্থ না হলে সফল হওয়া যায় না। ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি। বরং এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীদিনে সফল হতে হবে। এই কথাটা যেন এবার অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চলেছেন ইসরো প্রধান। তাই নতুন বছরের প্রথম দিনেই ঘোষণা করলেন, কেন্দ্র ছাড়পত্র দিয়েছে চন্দ্রযান–৩ মিশনে। আর এই মিশনকে সফল করতে ইসরোর বিজ্ঞানীরা কাজ করে চলেছেন। কে শিবন আরও
জানান, এই চন্দ্রযান–৩ মিশনে ব্যয় হবে ৬০০ কোটি টাকা। চন্দ্রযান–২ মিশনের জন্যও ভাল কাজ করেছিলাম আমরা। কিন্তু সফলভাবে অবতরণ করতে পারিনি। যদিও এখনও অরবিটার কাজ করে চলেছে। আগামী ৭ বছর ধরে কাজ করবে এবং তথ্য পাঠাতে থাকবে। তবে চন্দ্রযান–৩ মিশনের পাশাপাশি গগনযান মিশন নিয়েও কাজ শুরু হতে চলেছে। সেটা কতটা এগিয়েছে? এই বিষয়ে ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই চারজন মহাকাশচারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এই চারজন মহাকাশচারীই পুরুষ। ভারতীয় বায়ুসেনায় তাঁরা কাজ করছিলেন এবং তাঁদের রাশিয়াতে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, চন্দ্রযান–২–এর থেকে চন্দ্রযান–৩–এর খরচ কম। আর ২০২২ সালে গগনযান মহাকাশে পাঠানো হবে।