কলকাতাঃ বর্ষবরণের রাতে যাদবপুরের গৃহবধূ সুইটি সূত্রধরের মৃত্যু ঘিরে এই প্রশ্নই উঠছিল। তবে তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, খুন নয় সুইটির মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়। ইতিমধ্যে পোদ্দারনগরের এই রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছিল এটি খুনের ঘটনা। স্বামী কুন্তলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বর্ষবরণের রাতে কুন্তল ও সুইটি গড়িয়াহাটের একটি বারে মদ্যপান করতে। বাড়ি ফেরার সময়েই তাঁদের অবস্থা বেসামাল ছিল। কিন্তু তারপরেও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আরও মদের খোঁজ করেন তারা। না পেয়ে কিছু পরে সুইটি নিজের ঘর থেকে মদ নিয়ে আসেন। ছাদে গিয়ে দম্পতি একসঙ্গে মদ্যপান করতে থাকেন। কোনও এক সময়ে স্বামী ছাদ থেকে নীচে নামেন। তখনই ছাদ থেকে পড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সুইটির। ছাদের দেওয়ালের বাইরের দিকে তাঁর নখের আঁচড়ের দাগ থেকে বোঝা যায় তিনি বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানিয়েছে এই তথ্য। এর আগে গৃহবধু সুইটি সূত্রধরের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। যাদবপুর থানার কাছাকাছি পোদ্দারনগরে ঘটেছিল এই ঘটনা। ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল সুইটির। জল্পনা চলছিল অনেক কিছু। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড এবং ফরেন্সিক বিভাগ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছিল। আর তারপরেই ২৯ বছরের সুইটির মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার সামনে এল এই তথ্য।