দিন কয়েক আগে দিল্লির রামলীলা ময়দানে জাঁক করে বলেছিলেন ২০১৪ সালের পর থেকে এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। অথচ, বৃহস্পতিবার কর্নাটকের টুমকুরে শ্রী সিদ্দাগঙ্গা মঠে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের নাগরিক আইনের পক্ষে এবং তা নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের সমাচলোচনা করতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারকে ইস্যু করে মোদি বলেন, ‘ধর্মের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র। তাই সেখানে হিন্দু, জৈন, বুদ্ধদের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিপদাপন্ন। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা ভারতে শরণ নিচ্ছেন।’ এরপরই কংগ্রেস এবং তার সহযোগী দলগুলিকে বিঁধে মোদির খোঁচা, ‘কংগ্রেস এবং তার শরিকরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না। অথচ ওরা এই সব শরণার্থীদের বিরুদ্ধে মিছিল বের করছে। ওরা যদি স্লোগান তুলতেই চায় তাহলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিক। ওরা যদি প্রতিবাদ মিছিল বের করতে চায় তাহলে পাকিস্তানে দলিত এবং প্রান্তিক মানুষদের পক্ষে প্রতিবাদ মিছিল বের করুক।’ নাম না করে ইউপিএ শাসিত ২১ শতকের শুরুর দশককে অশান্ত বলে ইঙ্গিত করে মোদির দাবি, এই শতকের তৃতীয় দশকের জীবনযাত্রা অনেকাংশে উন্নত হয়েছে এবং আগামী দিনে তা আরও শক্তিশালী হবে। সিএএ এবং জম্মু–কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করে মোদি বলেছেন, সংসদের পক্ষে এই দুটোই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ছিল।