বিধানসভায় এবার পাস হল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর পশ্চিমবঙ্গই চতুর্থ রাজ্য, যেখানে বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হল। সিএএ বিরোধী প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে বাম-কংগ্রেস। শুধুমাত্র এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিজেপি। এদিন বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে বাম সরকার পরিচালিত কেরালা। সেই পথ অনুসরণ করে বাম-কংগ্রেস বিধায়করা গত ৯ই জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশের দাবি তোলে। কিন্তু, রাজ্যের দুই বিরোধী দলের সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। সে সময় শাসকদলের পক্ষে থেকে জানানো হয় যে, আগেই এ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ হয়েছে। ফলে নতুন করে এই প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তা নেই। শাসক শিবিরের এই মনোভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। এমনকী, তৃণমূল সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মোদী-মমতা আঁতাঁত বলেও অভিযোগ করা হয়। অবশ্য গত সোমবার তাৎপর্যপূর্ণভাবেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৭ জানুয়ারি কেরালা, পাঞ্জাবের পথে হেঁটেই বাংলা বিধানসভাতেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থন চেয়ে মমতার সরকারের তরফে চিঠি দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বয়ান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিএএ সংবিধান বিরোধী। এই দাবি করে আগেই বাম পরিচালিত কেরালা বিধানসভায় পাস হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাবনা। শাসক-বিরোধী শিবির একযোগে এই প্রস্তাবনাকে সমর্থন করেছে। তারপর কংগ্রেসের ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং পরিচালিত পাঞ্জাব বিধানসভাতেও পাস হয়েছে সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা। এরপর আরেক কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য রাজস্থানে পাস হয় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব।