মালদা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গনিখাঁন চৌধুরীকে শ্রদ্ধা করেন বললেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

হক জাফর ইমাম, মালদাঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদায় নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্যে আবু বরকত গনিখান চৌধুরীকে অপমানিত করেছে, মালদায় নির্বাচনী প্রচারে এসে বঙ্গ নিউজকে একান্ত সাক্ষাৎকারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মালদা কংগ্রেসের এই বিভ্রান্তিকর অভিযোগের কড়া জবাব দিলেন।শুক্রবার মালদায় নির্বাচনী প্রচারে এসে সরাসরি কংগ্রেস নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে গনিখান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গনিখান চৌধুরীকে শ্রদ্ধা করেন।  মৃত্যুর আগে গনিখান চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন রাজ্যের সিপিএমকে উৎখাত করার ক্ষমতা রাখেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদায় নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী তথা গনিখানের ভাই ডালুবাবুর বয়স হয়েছে। উনার এই বয়সে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত নয় । আর এই কথাকে কংগ্রেস নিজের মতো করে গল্প সাজিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন , দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস প্রার্থীর ৮১ বছর বয়সে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।  এই বয়সে উনার নির্বাচনী লড়াই করাটা ঠিক নয়।  গনি পরিবার থেকে মৌসম নূর তৃণমূলে যোগদান করেছেন।  তাকে মানুষ দুই হাত তুলে সমর্থন করছেন । এটাই হয়তো

কংগ্রেসীরা মেনে নিতে পারছে না।  মালদার কংগ্রেস দুই প্রার্থী নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই গনিসাহেবের বিরুদ্ধে তৃণমূলের নামে বিভ্রান্তিকর প্রচার ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী আরও বলেন,  দীর্ঘদিন ধরে গনিখান সাহেবের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গনিখানকে উনি শ্রদ্ধা এবং সম্মান করে চলেন দলনেত্রী । এরাজ্যে মানুষের মনে সিপিএমের নির্যাতন জগদ্দল পাথরের মতো চাপা হয়েছিল। সেই নির্যাতনকে উৎখাত করার ক্ষমতা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই ছিল । একসময় গনি খান সাহেব বলেছিলেন আর এরাজ্য থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  কংগ্রেস প্রার্থীদের বিভ্রান্তিকর এই ইস্যু এখন আর কাজ করছে না ।‌দক্ষিণ মালদার প্রার্থী অনেক জায়গায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন । আর তারই জেরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার করে নিজেদের ফায়দা নিতে চাইছে কংগ্রেস । এতে কোনো লাভ হবে না।এদিন দক্ষিণ মালদার বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । এদিন  কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপি কেউ একহাত নিয়ে মন্ত্রী বলেন,  দক্ষিণ মালদায় একজন রঙ্গিলা প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন । যিনি একসময় কংগ্রেস করতেন,  পরবর্তীতে তৃণমূল হলেন। এবার বিজেপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছে । কিন্তু মোদি সরকারের নোট বন্দি এবং জিএসটিতে যেভাবে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। তার যোগ্য জবাব ব্যালট বাক্সে  বুঝিয়ে দিবে মানুষ। মন্ত্রী বলেন,  মালদায় নির্বাচনের আগে বারবার এসেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  মালদাকে ভালবাসলেও মালদা থেকে তৃণমূলের সুফল হয় নি। তাই একটা আক্ষেপ রয়েছে । তবে এবারের হাওয়াটা অন্যরকম । কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত মালদা এখন তৃণমূলের । পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলে গিয়েছে।  মালদা দুটি লোকসভা কেন্দ্র আমরা পাচ্ছি। কারণ,  তৃণমূলের ঘূর্ণিঝড়ে কুপোকাত বিরোধী দলগুলি।  এরই আগাম আঁচ বুঝতে পেরে এখন কংগ্রেস আবোল তাবোল বকছে।