এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার খুব ভালোভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা বুঝেছে এবং তার সমাধান করেছে । তবে কেন্দ্রের উদ্যোগ সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি । তিনি বলেন, কেন্দ্র খুব ভালোভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা বুঝেছে এবং তার সমাধান করেছে । তবে কেন্দ্রের উদ্যোগ সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি। বিরোধীদের সমালোচনার মুখে বারবারই পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে । একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে হেঁটে ফেরা, এই সব কিছুর জন্য ‘অপরিকল্পিত’ লকডাউনকে দোষ দিয়েছে বিরোধীরা । আজ অমিত শাহ বলেন, “আমার মনে হয় কেন্দ্রের উদ্যোগ সঠিকভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়নি । লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়েছে । আমি এবং প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের প্রথম দিনেই প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম । তাঁদের জানিয়েছিলাম শ্রমিকদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করুন । প্রতিটি রাজ্য শ্রমিকদের থাকা এবং খাবারের ব্যবস্থা করেছিল । প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের মধ্যে খাবার বিলি করা হয়েছে ।” রাজ্য এবং কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি । বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই শ্রমিকদের সমস্যা এবং চাহিদা নিয়ে ভাবা হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী সব রাজ্যে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন । শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই শ্রমিকদের জন্য হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হয় । পাশাপাশি কোয়ারানটিন সেন্টারও তৈরি করা হয় বলে দাবি করেন তিনি । এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ৫৯৪টি ট্রেনে ৬৩ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক নিজ রাজ্যে ফিরেছেন । ৪২ লাখ শ্রমিককে তাঁদের প্রয়োজন মতো নির্দিষ্ট রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । অমিত শাহ বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ, বিহার , ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন । তাঁদের কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছিল । কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের প্রত্যেককে এক থেকে দুই হাজার টাকা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি ।’ দুর্ঘটনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেন অমিত শাহ । তিনি বলেন, ‘এই কথা ঠিক যে কয়েকটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে । সেই সব ঘটনার জন্য খারাপ লেগেছে । তবে সেই নির্দিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছি ।’