কলকাতা

৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি অফিসে হাজিরা ৭০ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতাঃ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনআরএস হাসপাতালের ১১০টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে ৷ ডাক্তার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালকে কোরোনা হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে কলকাতায় একাধিক হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৷ অনেক ক্ষেত্রে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে ৷ সেই সঙ্গে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি অফিসে কর্মীদের হাজিরা ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করল রাজ্য সরকার ৷ করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ এপ্রসঙ্গে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন , “আমরা কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি ৷ আপনারা কেন আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন ৷ যুদ্ধ আমাদের সবার ৷ আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে ৷” তিনি আরও বলেন, “আশাকর্মী, ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যন্ত দিনরাত কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ৷ আমরা ভেবেছিলাম ভারত সরকারের থেকে সাহায্য পাব ৷ কিন্তু কিছুই পেলাম না ৷ খালি হাতে তালি বাজাচ্ছি ৷” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “আমি শুধু বলছি আমাদের সময় দিন ৷ সুযোগ দিন ৷ এখন কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেশি বাড়ছে ৷ বিশেষ করে আবাসনগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে ৷ আবাসনগুলোকে স্যানিটাইজ় করুন ৷ আমি আবারও বলছি, কোরোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই ৷ শুধু সাবধান থাকুন ৷ ডাক্তার চিকিৎসক নার্স, আশাকর্মীদের সাহায্যের হাত বাড়ান ৷ তাঁদের উৎসাহ দিন ৷” আমফানের ত্রাণ প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমফানের ত্রাণ তাড়াতাড়ি দিতে গিয়ে একটু ভুল হয়ে গিয়েছে ৷ আর সেটাই নিয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করছে ৷ আমরা তো ত্রাণ দিচ্ছি ৷ বামফ্রন্টের আমলে তাও দেওয়া হত না ৷ না দেওয়া হত ত্রাণ, না দেওয়া হত দান, আর না থাকত প্রাণ৷ আমরা তদন্ত করেছি, সেখানে আমরা ৪০ হাজার আবেদনপত্র পেয়েছিলাম ৷ এই ৪০ হাজারের মধ্যে ২৬ হাজার জেলাশাসকের লিস্টে ছিল ৷ ছয় হাজারের নতুন তালিকা করা হয়েছে ৷ এই ছয় হাজারকে তিন দিনের মধ্যে ক্যাম্প করে আর্থিক সাহায্যের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে ৷ আর ছয় হাজার নাম বাতিল করা হয়েছে ৷ কারণ আমরা দেখেছি এদের দরকার নেই ৷” রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একতরফা হয়ে যাচ্ছে ৷ রাজ্যপালের পদের মর্যাদা আমরা জানি ৷ আমরা চাই ন্যূনতম সৌজন্য দেখান রাজ্যপাল ৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও সম্মান করা হোক ৷ একজন রাজ্যপাল কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের মতো কথা বলতে পারেন না ৷ এটা আমাদের গণতন্ত্রে শোভা পায় না ৷” আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপালকে প্রতিটি চিঠির পালটা চিঠি দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ৷ আমি গতকালই চারবার ফোনে কথা বলেছি ৷ তাও রাজ্যপাল বলছেন রাজ্যের তরফে চিঠির কোনও জবাব দেওয়া হয় না ৷ রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করব না উনার প্রশ্নের উত্তর দেব ? জনপ্রতিনিধিরা এখন যেন চাকর হয়ে গেছে ৷