যোগী রাজ্যে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। এই নিয়ে বারবার বিরোধীরা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু তাতে কী, যোগী তো যোগীই। বিরোধীরা কি বলল, উনি সেসব কবে পাত্তা দিয়েছেন। এবার শোনা যাচ্ছে মাস তিনেকের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠন করতে চলেছেন। যাদের কাছে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা কোনও জায়গার তল্লাশির ক্ষমতা থাকবে। এমনিতেই যোগী রাজ্যে পুলিশদের নিয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে। যে উত্তরপ্রদেশের ত্রাস এখন গুন্ডা নয়, পুলিশ! মাঝেমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক এনকাউন্টার বা বিরোধীদের হেনস্তার অভিযোগ লেগেই থাকে। তারপর আবার পুলিশের প্রতি যোগীর এই ‘দরাজহস্ত’। সম্প্রতি এক সরকারি রিপোর্ট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যোগী উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৬২০০টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। আর তাতে মৃত্যু হয়েছে মোট ১২৪ জনের। এছাড়া ১৪ হাজারেরও বেশি অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি সরকারি রিপোর্ট। বেসরকারিভাবে পরিসংখ্যানটা আঁচ করাই যাচ্ছে। আলাদা করে বলার কিছু নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে, পুলিশকে ব্যবহার করে যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে অরাজকতা চালায়, বিরোধীদের হেনস্হা করে। জানা গিয়েছে, এই নতুন স্পেশাল ফোর্স গঠন যোগীরই মস্তিষ্কপ্রসূত। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ডিজিপিকে এই ফোর্স গঠনের ভার দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শুরুতে প্রায় এই ফোর্সে ১০ হাজার জওয়ান নিয়োগ করা হবে। প্রথমে পাঁচটি ব্যাটেলিয়নের এক একটিতে প্রায় ২ হাজার জন করে পুলিশ থাকবে।