বাংলায় ভোটের আগে আরও একবার ‘গোর্খাল্যান্ড’ ইস্যু উস্কে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এনিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিসান রেড্ডি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতিকে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি । এই অভিযোগ খারিজ করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে দার্জিলিঙের স্থায়ী সমাধান চায় কেন্দ্র।
কেন্দ্রের চিঠি। আর তাতে জ্বলজ্বল করছে ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, গোর্খাল্যান্ড শব্দের ব্যবহার করে কী বোঝাতে চাইছে কেন্দ্র? তবে কি বাংলা ভাগ চায় বিজেপি! এটা হতে দেওয়া যাবে না। ৭ অক্টোবর, বুধবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। পৌরহিত্য করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিসান রেড্ডি। ওই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি। মোর্চার রোশন গিরি জানিয়েছেন, বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাবেন তাঁরা। গত অধিবেশনেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন,”মোদী সরকার অনেক বড় সমস্যার সমাধান করেছে। পাহাড় ও ডুয়ার্সের মানুষও স্থায়ী সমাধান চান। দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি করে আসছেন তাঁরা। ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইস্তাহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি।” তার ১ মাস কাটতে না কাটতেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বৈঠক। তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন,”বিজেপি বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করছে। কোনওভাবেই সফল হতে দেব না। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেব।”