তৃণমূল ভবন থেকে প্রতিদিনই চলছে সাংবাদিক বৈঠক । দলের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরছেন একের পর এক প্রথম সারির নেতা । শশী পাঁজা । সুখেন্দুশেখর রায় । ব্রাত্য বসু । কাকলি ঘোষ দস্তিদার । কুণাল ঘোষ । এবার দলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান । সাংসদের সাংবাদিক বৈঠকের একেবারে শুরু থেকেই ছিল শাসক দলের জয়গাথা । রাজনীতির কথা বলব না বলব না করেও লাভ-জিহাদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যপাল… প্রতিটি বিষয়ই কথা বলেন তিনি। নুসরত জাহান বললেন, “যুবশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে রাজ্য । বাংলায় কর্মসংস্থান হয়েছে । ভবিষ্যতে আরও কাজের সুযোগ বাড়বে । কিছুদিনের মধ্যে ৩৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে । ” রাজ্যের শিক্ষাগত ক্ষেত্রেও উন্নতির কথা তুলে ধরেন নুসরত । স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাবৃদ্ধি, প্রতিটি দিকেই আলোকপাত করেন তিনি । বলেন, ” রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ টি থেকে বেড়ে ৪২ টি হয়েছে ।” ‘লাভ-জিহাদ’-এর প্রসঙ্গও উঠে আসে নুসরতের সাংবাদিক বৈঠকে । বললেন, “ভালোবাসা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার । ভালোবাসা ও জিহাদ হাত ধরে চলে না । ভোটের আগে অনেকে এধরনের টপিক তুলছেন । আপনি কাকে ভালোবাসবেন, এটি একান্ত আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । আপনার অধিকার । আপনি কাকে ভালোবাসবেন আর কাকে বাসবেন না সেটি কেউ বলে দিতে পারে না ।” গতকাল জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েও এই একই কথা বলেছিলেন তিনি । আজ ফের একবার ‘লাভ-জিহাদ’ ইশুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন সাংসদ । রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও উঠে আসে তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে । দলের বিভিন্ন কাজে বিশেষ করে নেতৃত্বের একাংশের উপর বিক্ষুব্ধ রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী । শুভেন্দু-কাঁটা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল । এই পরিস্থিতিতে আজ আবারও শুভেন্দু-কাঁটায় প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন নুসরত । বললেন, “শুভেন্দু অধিকারী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য । দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা থাকে ।” সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর না করে কেন শাহরুখ খানকে করা হয়েছে, সেই নিয়ে কিছুদিন আগেই একাধিক প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে । আজ সেই নিয়েও কথা বলেন সাংসদ-অভিনেত্রী । বললেন, ” অমিতাভ বচ্চনও তো গুজরাতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর । এইসব বিষয়গুলি নিয়ে শুধু শুধু কথা বাড়ানো হচ্ছে । শাখরুখ খান বাইরের না, বাংলারই ।”