কলকাতা

নৌটঙ্কি করছে যাতে ন্যাশনাল নিউজে ভালো করে দেখায়, দেখো আমায় মেরেছেঃ মুখ্যমন্ত্রী

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যে এলে তাঁদের কর্মসূচি সম্পর্কে রাজ্যকে কিছুই জানানো হয়না। নিরাপত্তাও চাওয়া হয় না পুলিশের থেকে। কিন্তু সমস্যা হলেই রাজ্যকে দোষারোপ করা হয়

কলকাতাঃ ডায়মন্ড হারবারে বিজেপি নেতাদের উপরে হামলার ঘটনা ‘নৌটঙ্কি’ বলে অভিহিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচার পেতে নাটক করছে বিজেপি নেতৃত্ব। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বলেছি পুলিসকে। মিথ্যা সহ্য করব না।  এ দিনের ঘটনার প্রসঙ্গে মমতা বলেন,’যদি ছোট ঘটনাও ঘটে থাকে, আমি জানি না কী করে ঘটেছে! শিরাকোলে আমাদের একটা প্রোগ্রাম ছিল। না বলায় ছেলেরা করেনি। শিরাকোলে কিছু হয়নি। চায়ের দোকানে কে ধাক্কা মেরেছে, কে কাকে থ্রো করেছে, প্ল্যানিং করে করেছো! যেমন ঈশ্বরচন্দ্র মূর্তি ভাঙা সময় করেছিলে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বলেছি পুলিসকে। সব মিথ্যা সহ্য করব না। এনাফ ইজ এনাফ।’ মুখ্যমন্ত্রী তোপ দেগে বলেন, ‘প্রতিদিন যেন আর কোনও পার্টি প্রোগ্রাম করবে না। শুধু একটা দলই করবে। কাজ নেই তো কিছু, লোকের কাজ করে না। কোনও দিন একটা চিফ মিনিস্টার চলে আসবে, কোনও দিন হোম মিনিস্টার, কোনও দিন চাড্ডা, নাড্ডা, ফাড্ডা, হাড্ডা সব চ লে আসে..এক একদিন এক একজন চলে আসবে আর লোক যদি না হয় তাহলে নাটক করবে যাতে জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ভাল করে দেখায়। দেখো আমায় মেরেছে, আহা রে?’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তোমার পিছনে পঞ্চাশটা গাড়ি কেন যায়? তার সঙ্গে তিরিশটা প্রেস, চল্লিশটা বাইকের কনভয়। আমার কনভয় তিনটে গাড়ি থাকে। কলকাতায় দুটো গাড়ি। তোমাদের নেতা আসছে ভাল কথা, আমরা হিংসাকে ঘেন্না করি। পঞ্চাশটা গাড়ি গেলে তো এমনিই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কে দেখছিল রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে? তার মানে কী আগেই প্ল্যান করা ছিল? লেজুর গাড়িতে কে হঠাত্‍ করে একটা ঢিল মারল আর এত তাড়াতাড়ি ছবি, ভিডিও তৈরি হয়ে গেল? খুব বেশি ওভারস্মার্ট? স্যাটেলাইট থেকে কাজ করছে নাকি!’ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা রাজ্যে এলে তাঁদের কর্মসূচি সম্পর্কে রাজ্যকে কিছুই জানানো হয়না। নিরাপত্তাও চাওয়া হয়না পুলিশের থেকে। কিন্তু সমস্যা হলেই রাজ্যকে দোষারোপ করা হয়।বিজেপি নেতাদের নিরাপত্তার বহর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বলেন,’এলাকার অ্যাংলা, ব্যাংলা, চ্যাংলারও অনেক সম্মান আছে বলে মনে করি। এক একটার খুঁটির জোর নেই। না এপাশ না ওপাশ, ধপাস। সেগুলির পিছনে ৪টে করে নিরাপত্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিকিউরিটিগুলো কালো কালো ড্রেস পরে বড় বড় বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, ‘এত তোমার সিআইএসএফ, বিএসএফ, কম্যান্ডো আছে তাহলে তোমার গাড়িতে হাত পড়ে কী করে? গুন্ডাকে পর্যন্ত চারটে করে সিকিউরিটি রেখে দিয়েছো। আমরা তো বার বার বলেছি সমস্যা হলে রাজ্যকে বলুন। তোমার তো অধিকার নেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নাক গলানোর। এটা কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করে দেওয়া নয়? তোমার পার্টির ক্যাডাররা যখন অস্ত্র, ছররা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে রাজ্যকে দোষারোপ করো। রাজ্যের উপরে নির্ভর করে দেখো, আমরা সবাইকেই নিরাপত্তা দিই। বিরোধী বা সরকার বলে মনে করি না। তৃণমূলের থেকেও বিরোধীদের বেশি সম্মান দিই। মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করেন, তিনি দিল্লি গেলেই বিজেপি-র লোকেরা তাঁর বাড়ির বাইরে ঘেরাও করে, গাড়ির সামনে ঝামেলা করে।

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/303492980946175