কলকাতাঃ বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। প্রস্তাবের পক্ষে তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি ভোট দেন কংগ্রেস এবং বাম বিধায়করাও। তবে রাজ্যে কৃষি আইন সংশোধনীর প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবের বিপক্ষে পড়ে ২৭ টি ভোট আর পক্ষে পড়ে ১০১ টি ভোট। প্রস্তাবের ওপরে বিতর্কে অংশও নেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যখন তা বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল, সেই সময় অনুপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য আজ সকাল থেকেই কৃষি আইন বাতিল নিয়ে উত্তাল হল বাংলার বিধানসভা। শুক্রবার কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার বিরোধিতা করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে অধিবেশন ছেড়ে চলে গেলেন বিজেপি বিধায়করা। তার আগে ওয়েলে নেমে প্রবল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। লবিতেও চলে বিক্ষোভ পর্ব। বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুলাল বর, সুদীপ মুখোপাধ্যায়দের দাবি, যে আইন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার পাশ করে ফেলেছে, তার বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা যায় না। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এদিকে প্রস্তাব আনার সময় বাম এবং কংগ্রেসকে পাশে চাইলেন মমতা। তিনি বললেন, ‘আমাদের আদর্শগত মতবিরোধ থাকতে পারে। কৃষকদের স্বার্থে আসুন এই প্রস্তাবকে সমর্থন করি। কর্পোরেট ঋণ মকুব হতে পারে, কৃষকদের ঋণও মকুব করতে হবে। আন্দোলনকারী কৃষকদের দেশদ্রোহী বললে মানব না, কৃষকদের দেশদ্রোহী বললে দেশ রুখে দাঁড়াবে। দিল্লির ঘটনার জন্য পুলিশই দায়ী, কৃষকরা লালকেল্লা দখল করতে গেছে, বিশ্বাস করি না।’ দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে যা হয়েছে, তাতে প্রমাণিত গোয়েন্দা দফতর ব্যর্থ। তাদের কাছে কোনও খবরই ছিল না। পুলিশও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মমতার মতে, ওই ঘটনার পিছনে এমন কেউ আছে, যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কৃষকদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ এ সব ভাল চোখে দেখেন না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর তিনি বলেন, ”যে কোনও মূল্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে বিজেপি সরকারকে গদি ছাড়তে হবে। কোনও ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।” এর পরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে বিজেপি বিধায়করা ওয়াকআউট করেন।


