দেশ

গুজরাতে বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা বানাচ্ছে রিলায়েন্স

এবার চিড়িয়াখানা খুলছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। তবে ছোটখাটো পরিসরে নয়। তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম চিড়িয়াখানা। এর জন্য নিজের রাজ্য গুজরাতকেই বেছে নিয়েছেন আম্বানিরা। রিলায়েন্সের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর পরিমল নাথওয়ানি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই সর্বসাধারণের জন্য এই চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। যদিও এই প্রকল্পে খরচ বা কোন কোন জীব-জন্তু এখানে রাখা হবে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। চিড়িয়াখানার সঙ্গেই একটি রেসকিউ সেন্টারও থাকবে। সূত্রের খবর, চিড়িয়াখানার প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে কোমোডো ড্রাগন। থাকবে ব্ল্যাক প্যান্থার, আফ্রিকান সিংহ, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, জাগুয়ার, মালায়ান তাপির, গোরিলা, আফ্রিকান হাতিও। জানা গিয়েছে, জামনগরের কাছে মোতি খাবদিতে রিলায়েন্সের একটি তেল শোধনাগার আছে। তার কাছেই ২৮০ একর জমিতে চিড়িয়াখানাটি তৈরি হচ্ছে। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির কয়েকশো পশু, পাখি ও সরীসৃপের দেখা মিলবে এখানে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এগুলি নিয়ে আকর্ষণের শেষ নেই। এছাড়া, আরও বেশ কিছু চমক অপেক্ষা করছে বলে খবর। সংস্থাসূত্রে খবর, এটি মুকেশের কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির স্বপ্নের প্রজেক্ট। চিড়িয়াখানাটির নাম হবে ‘গ্রিনস জুলজিক্যাল রেসকিউ এবং রিহ্যাবিলিটেশন কিংডম’। ইতিমধ্যেই দু’টি ব্ল্যাক প্যান্থার আনার বিষয়ে গুয়াহাটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রিলায়েন্সের কথা হয়েছে। এবার চিড়িয়াখানা গড়ে নতুন চমক দিচ্ছেন মুকেশ আম্বানি। তবে তিনিই প্রথম নন, এর আগে ইন্দোনেশিয়ার শিল্পপতি লো টাক নং ৪০ লক্ষ ডলার খরচ করে একটি চিড়িয়াখানা তৈরি করেছিলেন। তালিকায় নাম রয়েছে জর্জিয়ার ধনীতম ব্যক্তি তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিডজিনা ইভানিসভিলি, ফিলিপিন্সের কোটিপতি উইলিয়াম বেলোর নামও।