৮০ বছরের বেশি কাউকে এবার বিধানসভা ভোটের টিকিট দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পূর্বে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান , এবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় যুব ও মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকবে। পাশাপাশি, এবার প্রার্থী তালিকায় অসংখ্য নতুন মুখ দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন সুব্রত। সুব্রত মুখার্জি বলেছেন, ‘৮০-র উপরে যাঁদের বয়স, তাঁরা এবার আর বিধায়ক পদের দাবিদার থাকছেন না। তাঁরা বিধানসভা ভোটে লড়ার টিকিট পাবেন না। করোনার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে অন্য সম্মানজনক পদ দেওয়া হবে।’ সুব্রত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। পাশাপাশি বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কমিটিতে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের মতো নেতারাও। সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যাঁদের আছে তাঁদেরকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এর জন্য ২০১৯-এ প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করার পর থেকে তিনি এবং তাঁর সংগঠন আইপ্যাক জেলায়-জেলায় বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীর খোঁজ করেছে। কোথাও কোথাও বিরোধীদলের প্রার্থীদের সঙ্গেও আইপ্যাক কথা বলে। সেই অনুযায়ী তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে টলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। তবে তাঁদের সবাইকে টিকিট দেওয়া নাও হতে পারে। কাদের কতটা জনসংযোগের ক্ষমতা রয়েছে, তাও যাচাই করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চা নামে এই তিনটি দলের জোট আত্মপ্রকাশ করেছে রবিবারের সমাবেশে। এবার সেই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে ব্যাপক আক্রমণ করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন সুব্রত বাবু নাম না করে আব্বাসের দলকে একপ্রকার সাম্প্রদায়িক বলেছেন। সেই দল জাতপাতের রাজনীতি করে, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সুব্রত বলেন,” আমরা রাজনৈতিক ভাবে এতদিন ধরে বাম এবং কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনও দিন আমরা এই অভিযোগ করিনি যে, তারা জাতপাতের রাজনীতি করে। সবসময় তারা জাতপাত বিরোধী রাজনীতি করেছে। কিন্তু রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে কত লোক হয়েছে সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে বলছি, প্রকাশ্যে বাম এবং কংগ্রেস জাতপাতের রাজনীতিতে নাম লেখাল। এতদিন বিজেপি এভাবে রাজনীতি করেছে। ওদের সঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসের আর তফাত্ থাকল না। তিনটি দলই জাতপাতের রাজনীতিতে ঢুকে পড়ল। প্রকাশ্যে তারাই কাজটা করেছে। তারা নিজেরাই নিজেদের চরিত্র হনন করেছে। তাই আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি, রাজা তোমার গায়ে জামা কাপড় নেই।” গতকালের ব্রিগেশ মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে ব্যাপক নিশানা করেছেন আব্বাস। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে এদিন সুব্রত বাবু বলেন,” কংগ্রেসের এক নেতা বক্তব্য রাখছিলেন। তাঁকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যদিও এটা আমাদের কাছে বড় ব্যাপার নয়। সুব্রত বলেন,” আমাদের বিরুদ্ধে চাকরি সংক্রান্ত প্রচুর অভিযোগ করা হচ্ছে। বহু ফেক ভিডিও বাজারে ছাড়া হচ্ছে। সামাজিক প্রকল্পে বাংলা অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নাটক না করে মানুষের জন্য কাজ করুন।”