জেলা

ঝাড়গ্রামে জয়ের পর কলেজগুলিতে ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু করল এবিভিপি 

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর এবার এই জেলার কলেজগুলিতে ক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু করল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। কলেজে ভর্তি শুরুর আগেই প্রত্যেকটি কলেজে ইউনিট গড়ছে এবিভিপি। শুধু ইউনিট গড়াই নয়, কলেজগুলিতে পতাকা দিয়ে ছয়লাপ করে দিচ্ছে এবিভিপি। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম জেলার কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এবার কলেজে যাবতীয় ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে হচ্ছে। গেরুয়া শিবির কলেজগুলিকেই ‘পাখির চোখ’ করে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রভাব বাড়াতে চাইছে। একসময় ঝাড়গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি কলেজ ছিল। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ ছিল একমাত্র সরকারি কলেজ। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর আরও চারটি সরকারি নতুন কলেজ তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে মহিলা সরকারি কলেজও চালু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০টি কলেজ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। ২০১৭ সালে কলেজগুলিতে শেষ ভোট হয়েছিল। কলেজে ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। গত দু’টি শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। যার ফলে এই মুহূর্তে কোনও কলেজে ছাত্র সংসদের ভূমিকা নেই। এর মধ্যেই পঞ্চায়েতে জেলায় বিজেপির ক্ষমতা দখলের পর মানিকপাড়া ও গোপীবল্লভপুর কলেজে এবিভিপির সংগঠন তৈরি করেছে। তারপর লোকসভা ভোটে জয়ের পর কলেজগুলিতে ভর্তি শুরু হওয়ার আগে নিজেদের সংগঠন আরও বাড়াতে চাইছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন। ইতিমধ্যেই ভোটের আগে বিজেপি যুব সম্প্রদায়কে অনেকটাই নিজেদের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে। তাই এবার বিজেপির লক্ষ্য ছাত্র সমাজের উপর।সম্প্রতি বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদা চন্দ্রশেখর মহাবিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের সবাই যোগ দিয়েছে এবিভিপিতে। গোটা কলেজ চত্বরে এবিভিপির পতাকায় ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। এবিভিপির কলেজ ইউনিটের সভাপতি হয়েছেন অনুনয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, বছরের পর বছর কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়নি। কলেজে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল টিএমসিপির কয়েকজন। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কলেজে ইউনিট খুলেছি। এই কলেজে টিএমসিপির কোনও অস্ত্বিত্ব নেই। নয়াগ্রাম পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু কলেজে এবিভিপি পতাকা বেঁধেছে। ওই কলেজে ছাত্র ইউনিটও গঠন করেছে এবিভিপি। নয়াগ্রাম কলেজের এবিভিপির সভাপতি হয়েছেন অজিত মাহাত ও ইউনিট সম্পাদক হয়েছেন রুপালি পাল।