দেশ বিবিধ

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে একগুচ্ছ সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং আইসিএমআর

করোনার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে আরও মারণ ফাঙ্গাস। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে ‘মিউকরমাইকোসিস’। গুজরাত, দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্য়ে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে এই মারণ ছত্রাক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু, মৃত্য়ুও হয়েছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে ‘মিউকরমাইকোসিস’ নিয়ে একগুচ্ছ সতর্কতা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রক এবং আইসিএমআর। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে,করোনা আক্রান্ত ডায়বেটিক রোগীদের মধ্য়ে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু না হলে ফল হতে পারে মারাত্মক। রোগীদের অন্ধ করে দিচ্ছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। আইসিএমআর-এর তরফে বলা হয়েছে, চোখ ও নাকের চারপাশে ব্য়থা এবং লালচে ভাব। জ্বর, মাথা ব্য়থা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব ‘মিউকরমাইকোসিস’-এর অন্য়তম লক্ষণ। এছাড়া, ‘মিউকরমাইকোসিস’-এ আক্রান্ত রোগীর দাঁতে ব্য়থা হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন। হতে পারে মানসিক অবস্থার পরিবর্তনও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ডায়বেটিস এই রোগ সংক্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এছাড়া, করোনা আক্রান্ত রোগী দীর্ঘদিন আইসিইউ-তে থাকলে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি, উচ্চ স্টেরয়েডজাতীয়  ওষুধের অপরিমিত ব্য়বহারও এই রোগ সংক্রমণের কারণ।

মিউকোরমাইকোসিস কী ধরনের সংক্রমণ ?

🔴 মিউকোরমাইকোসিস খুবই বিরল একটা সংক্রমণ। মিউকোর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত এই ছত্রাক পাওয়া যায় মাটি, গাছপালা, সার এবং পচন ধরা ফল ও শাকসব্জিতে।
🔴 “এটা মাটি এবং বাতাসে এমনিতেই বিদ্যমান থাকে। এমনকি নাক ও সুস্থ মানুষের শ্লেষ্মার মধ্যেও এটা স্বাভাবিক সময়ে থাকতে পারে,” বলছেন ডা. নায়ার।
🔴 এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার বা এইচআইভি/এইডস যাদের আছে, কিংবা কোন রোগের কারণে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম এই মিউকোর থেকে তাদের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

সংক্রমণ রোধের উপায় ?

🔴 করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা।
🔴 নির্দিষ্ট পরিমাণে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের ব্য়বহার। 
🔴 পরিশ্রুত জল পান।
🔴 অ্যান্টি-বায়োটিক এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধের সঠিক পরিমাণে ব্য়বহার।
🔴 ‘মিউকরমাইকোসিস’-এ সংক্রমিত রোগীকে অ্যাম্ফোটেরসিন-বি ইঞ্জেকশন দেওয়া।