জেলা

অধীরের উপর ক্ষোভ উগরে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এবার পদ ছাড়লেন সোমেন-পুত্র রোহন মিত্র। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।  আজ, বুধবার একটি ইমেল করে তিনি একথা জানিয়ে দেন। তবে প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসে এর হার্ড কপিও তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন। চিঠিতে অধীরের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। জিতিন প্রসাদ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও পর্যবেক্ষক নেই। তাই সরাসরি অধীরকেই মেল করেছেন রোহন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, অধীরের নেতৃত্ব কাজ করার আরও কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর। রোহনের প্রতি প্রদেশ সভাপতির মনোভাব জঘন্য। যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে হালের বিধানসভা নির্বাচন, সর্বত্রই বৈমাতৃকসুলভ আচরণ করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। রোহন আরও লিখেছেন, প্রদেশ সভাপতি হিসাবে রাজ্যে দলকে উপরে তুলতে ব্যর্থ অধীর। বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য আসন তারই প্রমাণ। ক্ষমতাসীন সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আচরণ, দলের নিচুতলার সঙ্গে তাঁর দূরত্বের ফলে কংগ্রেসের হাল আরও খারাপ হয়েছে রাজ্যে। এমনকী ফুরফুরা শরিফে গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করা, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মিলে জোটে আইএসএফের অন্তর্ভুক্তি করানোর নেপথ্যেও অধীরকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রোহন। লিখেছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অপমানিত হয়েও আইএসএফের সঙ্গে জোটের জন্য উদ্গ্রীব ছিলেন অধীর।সবমিলিয়ে নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য অধীর ও প্রদেশ নেতৃত্বে অধীর অনুগামীদের দায়ী করেছেন রোহন। একাধিক জেলায় বিজেপি ঘনিষ্ঠদের পদে বসিয়ে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকেই সুবিধা করে দিয়েছেন অধীর, অভিযোগ রোহনের। উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছে তাঁর। আজকে তাঁর এই সিদ্ধান্ত তারই বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, ইতিমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেছেন সোমেন পত্নী শিখা মিত্র। তাহলে কি রোহন ও শিখা দু’জনেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন? প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিত মুখোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদানের পরে এবার কি প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী ও পুত্র শিখা ও রোহনও কি তৃণমূলের পথে? অধীর চৌধুরীকে চিঠি পাঠিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ার পর থেকে জল্পনা আরও তীব্র হয়ে উঠছে।