ঝাড়গ্রাম: পুকুর কাটা হয়ননি। অথচ টাকা তোলা হয়েছে। বিডিও কাছে এমনই অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন বেলদা গ্রামের বাসিন্দারা জামবনি ব্লকের বিডিওর কাছে। তারপর শুরু হয় পুকুর কাটার কাজ। জামবনি ব্লকের চিলকিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলদা সংসদের গদরা পুকুর কাটার না করা নিয়েই অভিযোগ উঠেছিল। লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন হীরক পাতর, মিঠুন বৈঠা, কানু মুখীরা। তাঁদের বক্তব্য,‘গদরা পুকুরের খননের কাজ হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি বেশ কয়েকজন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে একশো দিনের টাকা ঢুকে গিয়েছে গত দু’মাস আগে। আর যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁরা কেউই একশো দিনের কাজ করে না। রেশন ডিলার থেকে শুরু করে অনেকে গ্রামের ধনী লোকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। আর আমরা যারা একশো দিনের কাজ করি, তাদেরকে কোন কাজই দেওয়া হয়নি। কি করে ওই পুকুরের নাম কি করে টাকা উঠল?’ জামবনি ব্লকের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জমা পড়তেই ওই পুকুরে মাটি কাটার কাজ শুরু করে লোকেরা। যাঁরা মাটি কাটছিলেন তারাও বেলদা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানালেন। তাঁদের মধ্যে নাড়ু নায়েক, শান্তি নায়েকরা বলেন,‘সকাল থেকেই চা খেয়েই মাটি কাটতে এসেছি। এই পুকুরে আজকেই আমরা প্রথম মাটি কাটার কাজ করতে এসেছি। এখনও কোন টাকা পায়নি আমরা।’ চিল্কিগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা দত্ত বলেন,‘এক বছর আগে কাজটা শুরু হয়েছিল। কিন্তু ওই পুকুরে জল থাকায় কাজটা করা যায়নি।’ তারপর আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি প্রধান।