দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আদালতে জয়। ত্রিপুরায় গ্রেফতার হওয়া দেবাংশু, সুদীপ, জয়া সহ ১৪ জন তৃণমূল যুব নেতা-নেত্রীর জামিন মঞ্জুর করল আদালত। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর তৃণমূল নেতাদের আদালতে পেশ করা হয়। আইনি লড়াইয়ে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁদের। জামিন পাওয়া নেতাদের নিয়ে আগরতলায় যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগরতলায় যাচ্ছেন। এদিন মূল মামলায় সকলের জামিন হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর তেলিয়ামুড়া থানায় দায়ের হওয়া মূল মামলায় জামিন হয়েছে এই চার যুবনেতার। তবে আমবাসা থানার কেস আদালত শুনতে চায়নি। বরং এই অতিরিক্ত মামলা কার্যত উড়িয়ে দিলেন বিচারক। জামিনের শর্ত অনুযায়ী লোকাল বন্ড দেওয়া হয়েছে। তবে জামিন হলেও সংশয় ও উদ্বেগ কাটেনি তৃণমূল শিবিরের। যাবতীয় নিয়ম-কানুন সেরে জামিন নিয়ে ফিরতে ফিরতে রবিবার সন্ধ্যে হয় যাবে। এদিকে মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে আছে বিজেপির দলীয় সমর্থকরা। তাই তৃণমূলের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে আবেদন করেন তৃণমূলের নিরাপত্তার দিকটা যেন দেখা হয়। রবিবার দুপুরে খোয়াই থানা থেকে উত্তেজনা আদালত চত্বর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আদালত চত্বরে তৃণমূল নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় আইনজীবীদেরও। তৃণমূলের অভিযোগ, আদালত চত্বরেও বিজেপির গুন্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুর করছে। কোনও নিরাপত্তা নেই। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এদিকে, ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদকে এবার দিল্লি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কর্মীদের মুক্তির জন্য যে ভাবে আন্দোলন চালালেন তাকে কুর্নিশ জানিয়ে একে নজিরবিহীন নেতৃত্ব বলে বর্ণনা করেন কুণাল ঘোষ ৷