বিদেশ

প্রতিশ্রুতিই সার, কাবুলের পথে মহিলাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত তালিবানদের, রেহাই পেল না শিশুরাও

তালিবানের তরফে জানানো হয়েছিল, মহিলারাও নতুন সরকারে যোগ দিতে পারবেন। তবে শরিয়তি আইন মেনে। বলা হয়েছিল, মহিলারাও পাবেন যোগ্য মর্যাদা। তবে প্রতিশ্রুতিই সার। কথা আর কাজে এখনও মিল নেই তালিবানদের। তাই কাবুলে বিমানবন্দরের রাস্তায় এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করল তালিবানরা। রেহাই পেল না তাঁর ছোট্ট শিশুও। 
তালিবানদের ভয়ে হাজার হাজার মানুষ আফগানিস্তান ছাড়ছেন। কেউ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বিমানের চাকা ধরে ঝুলে পড়ছেন। কাবুল বিমানবন্দরের সেই ছবি এখন ভাইরাল। দেখে শিউরে উঠেছে দুনিয়া, যে দেশ থেকে

GRAPHIC WARNING

পালাতে কতটা মরিয়া আফগানরা। পালানো আটকাতে কাবুল বিমানবন্দরের সামনে কড়া প্রহরায় রয়েছে তালিবানরা। হাতে লাঠি, ধারালো অস্ত্র, চাবুক। লাগাতার চালিয়ে যাচ্ছে সেসব অস্ত্র। আহত হচ্ছেন বহু মানুষ। লস এঞ্জেলেস টাইমস–এর এক সাংবাদিক কতকগুলো ছবি পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রাস্তায়। তাঁর শিশুকেও মেরে কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে তালিবানরা। কপাল থেকে ঝরছে রক্ত। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাও আফগানিস্তান ছেড়ে

আরও পড়ুনঃ কফিনে করে নাবালিকাদের যৌনদাসি করতে পাচার! রান্না পছন্দ না হলে মহিলাকে জ্বালিয়ে দিত, তালিবানিদের অত্যাচারের কথা ফাঁস করলেন নাজলা-রা

পালাতে যাচ্ছিলেন। তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর চালায় তালিবানরা। ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ঘটনায় ওই মহিলা, তাঁর শিশু সহ অন্তত ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত তিন দিন ধরে কাবুল বিমান বন্দরে চরম বিশৃঙ্খলার জেরে মারা গিয়েছেন ১০ জন।  তালিবানরা জানিয়েছিল, গত ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার সময় শিক্ষা নিয়েছে। তালিবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লাহ সামাগনি বলেছেন, ‘নতুন তালিবানি শাসনে মহিলাদের ওপর অত্যাচার চলুক, আমরা চাই না। সব কিছু পরিচালিত হয় শরিয়তের আইন অনুসারে। তার মধ্যে থেকে যদি মহিলারা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাঁদের স্বাগত। আমরা সমস্ত বৃত্তের প্রতিনিধিকে প্রশাসনে চাইছি।’ সেই প্রতিশ্রুতি গুলো কোথায়?‌

https://twitter.com/yamphoto/status/1427704925379760134